রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
সুড়ঙ্গ ধস

ভারতের উত্তরাখন্ডে আটকে পড়া ৪০ শ্রমিক নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

আটকে পড়া শ্রমিকরা ভালো আছেন বলে এখনো দাবি করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা
যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
নির্মাণকাজ চলার সময় এই সুড়ঙ্গটি ধসে পড়ে

ভারতের উত্তরাখন্ডে টানেলের (সুড়ঙ্গ) ভেতর আটকে পড়া ৪০ শ্রমিকের নিরাপত্তা ও জীবন নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। রোববার তারা টানেলের ভেতর আটকে পড়ার পর সপ্তম দিনেও এখনো উদ্ধার কাজে উলেস্নখ করার মতো অগ্রগতি নেই। উদ্ধারের জন্য জোর চেষ্টা চললেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো সুখবর পাওয়া যায়নি। উপরন্তু শুক্রবার সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযানে ড্রিল মেশিন ব্যবহার করার সময় আকস্মিক বিকট শব্দ পাওয়া গেছে। এতে পরিবারগুলোর উদ্বেগ আরও বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের পরিবার তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি

ধসে পড়া টানেলের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মাটি ছাড়াও বড় বড় বোল্ডার থাকায় ড্রিল কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শুক্রবার ভূগর্ভে ড্রিল মেশিনটি বন্ধ হয়ে গেলে উদ্ধারকর্মীরা সেটি আবার চালু করার চেষ্টা করে। সে সময় 'বড় আকারের ফাটলের শব্দ' শোনার পর তারা কাজ স্থগিত করে বলে রাষ্ট্র-পরিচালিত জাতীয় সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়।

গত রোববার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উত্তরাখন্ডের উত্তরকাশী জেলায় ব্রহ্মখাল-যমুনাত্রী জাতীয় মহাসড়কের অংশে নির্মাণাধীন ওই টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ে। পরে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, টানেলটি ধসে পড়ার আগের রাতে সেখানে ৫০ থেকে ৬০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। ধসের পর যারা টানেলের বেরিয়ে যাওয়ার মুখে কাজ করছিলেন তারা বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। কিন্তু মাটির প্রায় ২০০ মিটার গভীরে কর্মরত ৪০ জন শ্রমিক আটকা পড়েন। টানেলটি প্রায় চার হাজার ৫৩১ মিটার লম্বা। মাটি ধসে সেটির বেরিয়ে যাওয়ার মুখটি বন্ধ হয়ে গেছে।

তবে মাটির নিচে আটকে পড়া শ্রমিকরা ভালো আছেন বলে এখনো দাবি করে যাচ্ছেন কর্মকর্তারা। টানেল ধসে পড়ার দিন সকাল থেকেই তাদের পাইপের মাধ্যমে খাবার, পানি ও অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ওয়াকিটকির মাধ্যমে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যদিও বলা হচ্ছে, শ্রমিকদের মধ্যে মাথাব্যথা, উদ্বেগ এবং বমি বমি ভাবের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা এ খবর উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তারা ভালো আছেন।

কী কারণে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটির একটি অংশ ধসে পড়ল, সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ এখনো কোনো তথ্য প্রদান করেনি। তবে ভারতের পাহাড়ি রাজ্য উত্তরাখন্ডে নিয়মিতই ভূমিধস, ভূমিকম্প এবং আকস্মিক বন্যা হতে দেখা যায়।

টানেলটি উত্তরাখন্ড রাজ্যের যে জাতীয় মহাসড়কে নির্মাণ করা হচ্ছে, সেটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উচ্চাভিলাষী চারধাম হিন্দু তীর্থযাত্রা মহাসড়কের অংশ। ধসে পড়া টানেলটি রাজ্যের উত্তর কাশীর সিল্কিয়ারাকে দন্দলগাঁওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত করবে। যার ফলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থস্থান উত্তর কাশী থেকে যমুনাত্রী ধামের মধ্যেবর্তী সড়ক পথের দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। উত্তরাখন্ডে হিন্দুদের চারটি তীর্থস্থানকে জুড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে চারধাম মহাসড়কটি নির্মাণ হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে