আজকের যায়যায়দিন

বিশ্বের জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতাদের তালিকায় চতুর্থবারের মতো শীর্ষে উঠলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকাভিত্তিক 'কনসালট্যান্সি' প্রতিষ্ঠান 'গেস্নাবাল লিডার অ্যাপ্রম্নভাল রেটিং ট্র্যাকার'র সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে এই তথ্য। সংবাদসূত্র : এনডিটিভি, হিন্দুস্তান টাইমস

গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা এই জরিপে অংশ নিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাঁচ হাজারের বেশি প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। কার্যক্রম শেষে ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের ৭৬ শতাংশ তাদের পছন্দের বৈশ্বিক নেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির নাম উলেস্নখ করেছেন। অন্যদিকে, ১৮ শতাংশের বিপক্ষে মত দিয়েছেন এবং ছয় শতাংশ পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো অবস্থান নেননি।

তালিকায় মোদির পরে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর। তবে দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও নরেন্দ্র মোদির চেয়ে বেশ দূরে রয়েছেন তিনি। ৬৬ শতাংশ মানুষ তাকে সমর্থন করেছেন।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বেরসেট পেয়েছেন ৫৮ শতাংশ মানুষের সমর্থন। চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছেন যথাক্রমে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা (৪৯ শতাংশ), অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ (৪৭ শতাংশ), ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি (৪১ শতাংশ), বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডি ক্রু (৩৭ শতাংশ), আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (৩৭ শতাংশ) এবং স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ (৩৭ শতাংশ)।

গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন / বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়েছে আমেরিকায়

গেস্নাবাল লিডার অ্যাপ্রম্নভাল রেটিংয়ের জরিপে জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রথম ১০ জনের তালিকায় স্থান করতে পারেননি কানাডা, যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানরা। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৩১ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ২৫ শতাংশ সমর্থন এবং ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ পেয়েছেন মাত্র ২৪ শতাংশ সমর্থন।

এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বর এবং ২০২২ সালের জানুয়ারি ও আগস্টের জরিপেও সবচেয়ে জনপ্রিয় বৈশ্বিক নেতার সম্মান অর্জন করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বিভিন্ন মার্কিন সংস্থার তত্ত্বাবধানে পারিচালিত হয়েছিল সেসব জরিপ। তবে এবারের জরিপের ফল অবশ্য মোদির রাজনৈতিক দল বিজেপির জন্য 'লাভজনক' হবে বলে মনে করছেন ভারতের রাজনীতি বিশ্লেষকদের একাংশ। কারণ আগামী ২০২৪ সালেই লোকসভা নির্বাচন হবে দেশটিতে।