সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

গাজায় কোনো গণহত্যা হয়নি দাবি আমেরিকার

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
গাজায় কোনো গণহত্যা হয়নি দাবি আমেরিকার

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর সাম্প্রতিক অভিযানে কোনো গণহত্যা হয়নি বলে মনে করে আমেরিকা। জাতিসংঘের অন্যতম অঙ্গসংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট ফর জাস্টিসে' (আইসিজে) ইসরাইলকে অভিযুক্ত করে গাজায় গণহত্যা মামলা দায়েরের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার সমালোচনাও করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তথ্যসূত্র : এএফপি

গত ৩০ ডিসেম্বর বাদী হয়ে আইসিজেতে মামলাটি দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, গাজায় ইসরাইলি বাহিনী আন্তর্জাতিক অপরাধ, যেমন- মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ, এর পাশাপাশি গণহত্যা বা এ সম্পর্কিত অপরাধের সীমারেখা লঙ্ঘন করেছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আবেদনে আরও বলা হয়েছিল, ইসরাইলের এই আচরণ গণহত্যামূলক। কারণ, তারা ফিলিস্তিনি জাতির একটি উলেস্নখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই হামলা চালাচ্ছে।

গত ৩০ ডিসেম্বর আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় আইসিজেকে দ্রম্নত এ বিষয়ে শুনানির অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই অনুরোধে সাড়া দিয়েই ১১ জানুয়ারি শুনানি শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে আইসিজে। পাশাপাশি শুনানিতে উপস্থিত থাকতে ইসরাইলকে প্রতিনিধি পাঠানোর জন্য সমনও পাঠিয়েছে জাতিসংঘের আদালত।

আইসিজের এই আদেশের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, 'গণহত্যা খুবই ঘৃণ্য ধরনের নৃশংসতা। বিশ্বে যত রকম নৃশংসতা-নিষ্ঠুরতা দেখা যায়, সে সবের মধ্যে গণহত্যা সবচেয়ে ন্যক্কারজনক অপরাধগুলোর একটি। তাই এই ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই। তবে যদি এ ব্যাপারে আমেরিকার প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়, তাহলে আমরা বলব, গণহত্যার স্বীকৃত সংজ্ঞায় যা উলেস্নখ করেছে- গাজায় তা ঘটেনি এবং যারা মামলা দায়ের করেছে, তারা কোনো ফলপ্রসূ পদক্ষেপ নেয়নি।'

আলাদা এক ব্রিফিংয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি বলেন, 'ইসরাইলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ ভিত্তিহীন। দক্ষিণ আফ্রিকা যে মামলা দায়ের করেছে, তা থেকে কোনো ফল আসবে না।'

আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি সেই মামলার ওপর শুনানির দিন ধার্য করেছে 'ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস'। শুনানির সময় উপস্থিত থাকতে ইসরাইলকে তলবও করেছে আইসিজে। আদালতের এই আদেশের প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের জাতিসংঘ মিশন জানিয়েছে, এই মামলার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পরিসরে ইসরাইলের মানহানি করার চেষ্টা করা করা হয়েছে এবং এর জবাব দিতে শুনানির দিন আদালতে উপস্থিত থাকবে ইসরাইল।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে