সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১

দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে একের পর এক গোলা উত্তরের

যাযাদি ডেস্ক
  ০৬ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দক্ষিণ কোরিয়ার দিকে একের পর এক গোলা উত্তরের

দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী ইওনপিয়ং দ্বীপের দিকে ২০০টির বেশি কামানের গোলা ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম উপকূল থেকে গোলাগুলো ছোড়া হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এদিন ছোড়া গোলাগুলো দক্ষিণ কোরিয়ার ভূখন্ডে পড়েনি। সেগুলো দুই দেশের মধ্যবর্তী বেসামরিক অঞ্চলে পড়েছে। উত্তর কোরিয়ার এমন কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়েছে সিউল। একে 'উসকানিমূলক পদক্ষেপ' বলেছে তারা। তথ্যসূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা

এই গোলা নিক্ষেপের পর ইওনপিয়ং দ্বীপের বেসামরিক ব্যক্তিদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার। দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপ রাজধানী সিউল থেকে মাত্র ১১৫ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইওনপিয়ং দ্বীপের কাছাকাছি এলাকায় উত্তর কোরিয়া ২০০টির বেশি গোলা ছুড়েছে। তাই সেখানকার বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপদ এলাকায় সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উত্তরের এই পদক্ষেপে কোরীয় দ্বীপের শান্তি পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে। সিউল এর উপযুক্ত জবাব দেবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এর আগে, ২০১০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি দ্বীপ লক্ষ্য করে গোলা ছুড়েছিল উত্তর কোরিয়া। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে এত বড় সামরিক সংঘাত আর দেখা যায়নি।

তবে গত কয়েকদিন ধরে কিম জং-উন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার দক্ষিণ কোরিয়া ও তাদের মিত্রশক্তি আমেরিকাকে লক্ষ্য করে যুদ্ধের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তার মধ্যেই এই হামলা চালাল পিয়ংইয়ং।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে বাইংনিয়ং দ্বীপের উত্তর অংশে জাংসান-গোট এলাকায় ২০০ রাউন্ডের বেশি গোলা ছুড়েছে উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। এই হামলাকে উত্তরের পক্ষ থেকে উসকানি বলে উলেস্নখ করেছে সিউল।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এই ক্রমবর্ধমান সংকটের সম্পূর্ণ দায় উত্তর কোরিয়ার। তাদের অবিলম্বে এই ধরনের কর্মকান্ড বন্ধ করার জন্য আমরা সতর্ক করছি। আমেরিকার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে আমাদের সামরিক বাহিনী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। উত্তর কোরিয়ার এই উসকানির যথাযথ জবাব দেওয়া হবে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে