আজকের যায়যায়দিন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ করতে গিয়ে কমপক্ষে ১২ হাজার ৫০০ ইসরাইলি সেনা 'পঙ্গু' হয়েছে। ইসরাইলি সংবাদমাধ্যম 'ইয়েদিওত আহরোনোত' শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নিযুক্ত একটি প্রতিষ্ঠান মূলত এ তথ্য প্রকাশ করেছে। যাদের সেনাদের হতাহতের বিষয়টি নিরূপণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এত সেনার পঙ্গুত্ববরণ করাকে 'বিষণ্ন পূর্ভাবাস' হিসেবে অভিহিত করেছে সংবাদমাধ্যমটি। তথ্যসূত্র : আল-জাজিরা

লড়াইয়ে ১২ হাজার ৫০০ সেনার পঙ্গু হওয়ার বিষয়টিকে সতর্কবার্তা হিসেবে অভিহিত করেছে ইয়েদিওত আহরোনোত। হিব্রম্ন ভাষার সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, পঙ্গু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে ইসরাইলি সেনারা যে আবেদন করছে, সেটি ২০ হাজারে পৌঁছতে পারে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর পুনর্বাসন বিভাগ বর্তমানে ৬০ হাজার পঙ্গু সেনাকে চিকিৎসা দিচ্ছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালে কমপক্ষে পাঁচ হাজার সেনা পঙ্গুত্ববরণ করেছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পুনর্বাসনকেন্দ্রে ভর্তি হয়েছে তিন হাজার ৪০০ সেনা। যে ১২ হাজার সেনার কথা বলা হচ্ছে, তারা কি নতুন করে শুরু হওয়া লড়াইয়ে আহত হয়েছে, সেটি স্পষ্ট করে জানায়নি ইয়েদিওত আহরোনোত। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, সেনাদের হতাহত হওয়ার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেটির সঙ্গে এ তথ্যের অনেক অসঙ্গতি রয়েছে।

ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ইসরাইলি সেনাদের হতাহতের সংখ্যা তিন হাজারে পৌঁছেছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, এই সময় পঙ্গুত্ববরণ করেছে দুই হাজার ৩০০ সেনা। সেনাদের হতাহতের যে সংখ্যা সেনাবাহিনী প্রকাশ করছে, সেটি নিয়ে আগেই প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্যের তুলনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সেনার সংখ্যা অনেক বেশি।

আমেরিকায় বিক্ষোভ / ফিলিস্তিনপন্থি শিক্ষার্থীরা অনড়

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে হুঁশিয়ারির সুরে বলা হয়েছে, সাবেক সেনা ইতজিক সাইদানের মতো এমন কিছু হয়ত ইসরাইল আবারও প্রত্যক্ষ করবে। ইতজিক সাইদান ২০১৪ সালে গাজা যুদ্ধে ইসরাইলের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু ক্ষোভ থেকে ২০২১ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসনকেন্দ্রের বাইরে নিজ গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

তার মনে হয়েছিল, মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে করা চুক্তির সবক্ষেত্রে 'অপমান ও বঞ্চনার' শিকার হয়েছিলেন তিনি।