রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

তামাকমুক্ত বাংলাদেশ নিতে হবে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা

নতুনধারা
  ১০ মে ২০২৩, ০০:০০

তামাকের ক্ষতিকর দিক কিংবা এর কুপ্রভাবের কথা কমবেশি সবারই জানা। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ' গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে আগামী জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিল উত্থাপনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ অ্যান্ড ওয়েলবিং। সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ : অগ্রগতি ও করণীয়' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

'আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে 'তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হলে তামাক চাষ, তামাক কোম্পানির আয় থেকে নির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে রোডম্যাপ গ্রহণ করতে হবে সরকারকে। পাশাপাশি তামাক কোম্পানিতে সরকারের শেয়ার, তামাক কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদে সরকারি কর্মকর্তাদের রাখা, কৃষি মন্ত্রণালয়ে তামাক পাতার দাম নির্ধারণে কমিটি রাখা বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে তামাক কোম্পানিগুলোকে কর সুবিধা দিয়ে সরকারের নীতি ও কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক।' জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'তরুণ প্রজন্ম রক্ষায় নীতিতে তামাক কোম্পানির প্রভাব বন্ধ করুন' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানিয়েছিল তামাকবিরোধী জোট। এটা সত্য, দেশের তরুণদের তামাক সেবনে আসক্ত করে তোলার জন্য নানা কৌশলে কোম্পানিগুলো তামাক নিয়ন্ত্রণকে বাধাগ্রস্ত করছে। দেশের তরুণ সমাজকে তামাকের ছোবল থেকে বাঁচাতে সরকারের কাছে ওই সময়ে ছয়টি সুপারিশ তুলে ধরেছিল বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট। আন্তর্জাতিক নানা গবেষণায় ই-সিগারেট মারাত্মক স্বাস্থ্য হানিকর প্রমাণিত হওয়ার পরও বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বৈধ ব্যবসার সুযোগ দাবি করেছে। তামাক কোম্পানির এ ধরনের অপচেষ্টা এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপসমূহ ও এর বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।

\হআমরা মনে করি, তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া এত সহজ নয়। প্রকাশ্যে ধূমপানের জন্য ৩০০ টাকা জরিমানার বিধান থাকা সত্ত্বেও মানুষ আইন মানছে না। আইন না মানার প্রবণতা বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে। সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন জরুরি। তামাক কোম্পানির এ ধরনের অপচেষ্টা এখনই প্রতিরোধ করতে না পারলে জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারের পদক্ষেপসমূহ ও এর বাস্তবায়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে। যদি জনগণের রুচি ও মানসিকতার পরিবর্তন না হয় তা হলে কীভাবে সম্ভব তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়া। সিগারেটের গায়ে লিখা থাকে সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাপরেও তো মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে ধূমপানের দিকে। বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ ধূমপানসহ নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। কেবল তরুণ সমাজই নয় কিশোররাও এখন ধূমপানসহ নানা ধরনের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এটা সমাজের জন্য এক বিপজ্জনক বার্তা। আমরা চাই, ধূমপানমুক্ত সমাজ ও দেশ। এটা একদিনেই হবে না। এর জন্য সরকারকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। আমরা চাই, ধূমপানমুক্ত-তামাকমুক্ত বাংলাদেশ। দেশের মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে হলে এর বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে