রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রবাসী আয় বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে

নতুনধারা
  ৩০ মে ২০২৩, ০০:০০

প্রবাসী আয় দেশের অর্থনীতিকে চাঙা রাখতে বড় ধরনের ভূমিকা পালন করছে। আশার কথা, চলতি মে মাসের ২৬ দিনে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ১৪১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ ১৫ হাজার ৩৩০ কোটি ৬ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা হিসাবে)। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মে মাসে প্রতিদিন প্রবাসী আয় এসেছে প্রায় ৫ কোটি ৪৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৩০ ডলার করে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মে মাস শেষে প্রবাসী আয় দাঁড়াবে ১৬৯ কোটি ২৫ লাখ ডলারে। প্রবাসী আয় পরিস্থিতি আগের মাসের মতোই থাকবে। আগের মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৬৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার। তবে আগের বছরের মে মাস ও চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্ট মাসের চেয়ে প্রায় ৪০ কোটি ডলার কম হবে। আগের বছরের মে মাসে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০১ কোটি ডলার। উলেস্নখ্য, চলতি বছরের প্রথম দুই মাসের পরই তৃতীয় মাসে প্রবাসী আয়ে বড় ধরনের ধস নামে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেল থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে কমে যায় প্রবাসী আয়। এ সময় ব্যাংকিং চ্যানেল প্রবাসী আয় পাঠাতে নেওয়া বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগের ফলে তা বাড়তে শুরু করে। এসব উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে, বৈধ পথে প্রবাসী আয় পাঠানোর বিপরীতে নগদ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা, আয় পাঠানো প্রবাসীদের সিআইপি সম্মাননা দেওয়া; প্রবাসী আয় বিতরণ প্রক্রিয়া সম্প্রসারণ ও সহজ করা, অনিবাসী বাংলাদেশিদের জন্য বিনিয়োগ ও গৃহায়ণে অর্থায়ন সুবিধা দেওয়া, ফিনটেক পদ্ধতির আওতায় আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার অপারেটরকে বাংলাদেশের ব্যাংকের সঙ্গে ড্রয়িং ব্যবস্থা স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা এবং রেমিট্যান্স পাঠাতে ব্যাংক বা এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর চার্জ ফি মওকুফ।

এটা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই, বাংলাদেশ জনসংখ্যাবহুল দেশ। সঙ্গত কারণেই দেশের জনশক্তিকে জনসম্পদে রূপান্তর করা সার্বিক অগ্রগতির প্রশ্নেই জরুরি। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের মানুষ সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে প্রবাসী আয়। রেমিট্যান্স বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে করণীয় নির্ধারণ ও তার যথাযথ বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। কারণ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে রেমিট্যান্সের উলেস্নখযোগ্য অবদান রয়েছে। আমরা মনে করি, রেমিট্যান্স বাড়াতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক। ফলে প্রবাসী আয়ের বিষয়টিকে সামনে রেখে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি নতুন নতুন শ্রমবাজার খুঁজে বের করা এবং দক্ষ জনশক্তি নিশ্চিত করা জরুরি। সেই সঙ্গে বাড়াতে হবে প্রশিক্ষণের পরিধিও। এছাড়া যেসব দেশে বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের দেখভালের ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে