রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

শিশু নির্যাতন ও হত্যা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে

নতুনধারা
  ০১ জুন ২০২৩, ০০:০০

যতই দিন যাচ্ছে সমাজে শিশু নির্যাতনের হার বাড়ছে। কেবল নির্যাতন নয়, শিশুহত্যার সংখ্যাও বেড়েছে উদ্বেগজনক হারে। সম্প্রতি শিশু নির্যাতনের হার বেড়েছে ২০ শতাংশ। এটা সমাজের এক ভয়াবহ চিত্র। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি শিশু হত্যার ঘটনা ঘটেছে। প্রায়ই শোনা যাচ্ছে বাবা-মা সন্তানকে হত্যা করছে। শিশু হত্যা করছে নিকটাত্মীয়রাও। এ ধরনের ঘটনা সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত নজির। আশার কথা, নারায়ণগঞ্জে শিশু জুঁই আক্তার হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃতু্যদন্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবু্যনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় প্রদান করেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রকিব উদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃতু্যদন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার টেকপাড়া এলাকার জাকির হোসেন, শাহজালাল ও আশরাফুল।

শিশুরা ভুল করলে প্রহার করা ও বকাঝকার বদলে সুন্দর আচরণ ও উত্তম উপদেশ দেওয়া উচিত। মায়া-আদরের মাধ্যমে শিশুকে শিক্ষা দেওয়ার নির্দেশও রয়েছে। শিশু নির্যাতন ও হত্যা 'চরম সন্ত্রাস ও বিশৃঙ্খলা'র অন্তর্ভুক্ত। শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা বর্বরতার চূড়ান্ত নজির। শিশুর প্রতি যৌন নির্যাতন ও সহিংসতা বন্ধে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ও সচেতনতার পাশাপাশি উপযুক্ত পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি সামাজিক প্রতিবাদ ও ন্যায়ের পথে আহ্বানের উদ্যোগ নিতে হবে।

বলার অপেক্ষা রাখে না, শিশু নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা এর আগেও বেশ কয়েকটি ঘটেছে। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে। এ ধরনের জঘন্য প্রবণতা রোধ করতে না পারলে একদিকে যেমন সামাজিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে- অন্যদিকে, শিশুরাও থাকবে নিরাপত্তাহীন। পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনবে। সুতরাং, সময় থাকতেই সাবধান হওয়া সমীচীন।

এটা সত্য, সমাজের একশ্রেণির বর্বর পাষন্ড মানুষের হাতে অনেকের জীবনই বিপন্ন হয়ে পড়ছে, অবলীলায় জীবন চলে যাচ্ছে। এমনকি শিশুর জীবনও চলে যাচ্ছে। সমাজে শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। ঠুনকো কারণে শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। আপনজনের হাতেও শিশুর জীবন চলে যাচ্ছে। কেবল তাই নয়- আমাদের কোমলমতি শিশুরা অবলীলায় নির্যাতন ও ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। অথচ শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সমাজ তথা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কারণ আজকের শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কান্ডারি। শিশুর সুস্থ বিকাশ কীভাবে হবে, কীভাবে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে- এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের নতুনভাবে ভাবা উচিত। পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে