বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

বাংলাদেশের বিদু্যৎ খাত বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা

প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন
  ১৬ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
বাংলাদেশের বিদু্যৎ খাত বঙ্গবন্ধু থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা

বাংলাদেশ এবং জাতির সবটুকু অর্জনের সঙ্গে মিশে আছে বঙ্গবন্ধু নামটি। আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের স্বপ্ন- মোটকথা জাতিসত্তার প্রতিটি কণায় কণায় তার সরব উপস্থিতি বিরাজমান। অথচ ইতিহাসের এই মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করে কতিপয় নরঘাতক। জাতির ইতিহাসে অঙ্কিত হয় এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। আগস্ট তাই আমাদের কাছে শোকের মাস, শক্তির মাস। ইতিহাসের চাকাকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য চালানো হয়েছে এই নারকীয় হত্যাকান্ড। কিন্তু বাংলার জনগণকে বিস্মৃত করা যায়নি জাতির পিতার আদর্শ থেকে। তারা রুখে দাঁড়িয়েছে, প্রতিবাদ করেছে, খুনিদের বিচারের দাবিতে রাজপথ রঞ্জিত করেছে। যার ফলশ্রম্নতিতে আজ খুনিদের বিচার হয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচেয়ে আলোকিত অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের আপামর জনগণ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অনেক ত্যাগের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে বিজয়ের লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিল। বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠনের জন্য তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নিজেকে পুরোপুরি নিবেদিত করেছিলেন। তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। শুরু হয় যুদ্ধবিধ্বস্ত ধ্বংসপ্রায় দেশ গঠনে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্ব।

একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জন্য তার স্বপ্নটি যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছিল ১৯৭২ সালে প্রজাতন্ত্রের সংবিধান প্রণয়নের মধ্য দিয়ে। জাতির পিতা বিদু্যৎকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করে বেশ কিছু যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭২ সালে রচিত মহান সংবিধানের ১৬নং অনুচ্ছেদে বিদু্যৎকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে বিদু্যতের প্রাপ্যতা এ দেশের সব মানুষের সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়।

রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু প্রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার চঙ-৫৯ এর মাধ্যমে ১৯৭২ সালের ৩১ মে ওয়াপাদাকে বিভাজন করে বাংলাদেশ বিদু্যৎ উন্নয়ন বোর্ড গঠন করে বিদু্যৎ খাতে এক নবদিগন্তের সূচনা করেন। ফলশ্রম্নতিতে সমগ্র দেশে বিদু্যৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণের দায়িত্ব অর্পিত হয় পিডিবির ওপর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুদূরপ্রসারি সিদ্ধান্তে তদানীন্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহযোগিতায় সিদ্ধিরগঞ্জ, ঘোড়াশাল এবং আশুগঞ্জে পাওয়ার হাব প্রতিষ্ঠা করা হয়। লোড সেন্টার বিবেচনায় ওইসব পাওয়ার হাব এখন পর্যন্ত বিদু্যৎ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

শুধু তা-ই নয় ১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ পানি ও বিদু্যৎ প্রকৌশলী সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিক-নির্দেশনামূলক ভাষণে বলেন যে, 'বিদু্যৎ ছাড়া কোনো কাজ হয় না, কিন্তু দেশের জনসংখ্যার শতকরা ১৫ ভাগ লোক যে শহরের অধিবাসী সেখানে বিদু্যৎ সরবরাহের অবস্থা থাকিলেও শতকরা ৮৫ জনের বাসস্থান গ্রামে বিদু্যৎ নাই। গ্রামে গ্রামে বিদু্যৎ সরবরাহ করিতে হইবে। ইহার ফলে গ্রাম বাংলার সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হইবে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও গ্রামে গ্রামে বিদু্যৎ চালু করিতে পারিলে কয়েক বছরের মধ্যে আর বিদেশ হইতে খাদ্য আমদানি করিতে হইবে না'। তারই ফলশ্রম্নতিতে কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিদু্যতের অপরিসীম গুরুত্বের বিষয় বিবেচনা করে জাতির পিতার নির্দেশনার আলোকে ১৯৭৭ সালে পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড গঠিত হয়। ফলে তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে দেশে আজ শতভাগ বিদু্যতের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়েছে।

১৯০১ সালের ৭ ডিসেম্বর তারিখ আহসান মঞ্জিলে জেনারেটরের সহায়তায় বিদু্যৎ সরবরাহের মাধ্যমে এই অঞ্চলে বিদু্যতের যে যাত্রা শুরু হয় তখন থেকে ৭০ বছরে অর্থাৎ ১৯০১ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত বিদু্যতের স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা যেখানে ছিল ৫৪৭ মেগাওয়াট, সেখানে জাতির পিতার দূরদর্শী নেতৃত্বে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও মাত্র সাড়ে তিন বছরে ২১৯ মেগাওয়াট নতুন বিদু্যৎ সংযোজনের মাধ্যমে ১৯৭৫ সালে বিদু্যতের উৎপাদন ক্ষমতা ৭৬৬ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। কিন্তু ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর স্বাধীনতা বিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকায় পরবর্তী সময়ে বিদু্যৎ ও জ্বালানি খাতের আশাব্যঞ্জক কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি।

৭৫ এর পর দীর্ঘ ছয়টি বছর সীমাহীন কষ্টসাধ্য নির্বাসিত জীবন শেষ করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে আসেন জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। সুদীর্ঘ ১৫ বছরের সংগ্রামের পর ১৯৯৬ এর নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশকে আবারও পুনরুজ্জীবিত করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার যাত্রা শুরু করেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০১, সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশে অনেক বৈপস্নবিক পরির্বতন সাধিত হয়। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে বিদু্যৎ খাতে এক নবযুগের সূচনা হয়। এই সময়ে বিদু্যৎ উৎপাদন ১৬০০ থেকে ৪৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের এক যুগান্তকারী সিদ্ধান্তে বিদু্যৎ উৎপাদনে বেসরকারি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য 'চৎরাধঃব ঝবপঃড়ৎ চড়বিৎ এবহবৎধঃরড়হ চড়ষরপু ড়ভ ইধহমষধফবংয' গ্রহণ করা হয়। যার ফলশ্রম্নতিতে বর্তমানে বিদু্যৎ উৎপাদনে বেসরকারি অংশীদারিত্ব প্রায় ৫০ ভাগ। বিদু্যৎ খাত সংস্কার কর্মসূচির আওতায় বিদু্যৎ খাতের কাঠামোগত সংস্কার করে উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণ খাতে নানা সংস্থা এবং কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ফলে বিদু্যৎ খাতে সুশাসন, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। ফলশ্রম্নতিতে একসময় বিদু্যতের সিস্টেম লস ছিল ৩০% এর ওপরে যা বর্তমানে হ্রাস পেয়ে ৮% এর নিচে নেমে এসেছে।

পরবর্তীতে ২০০১ সালে সরকার পরিবর্তনের ফলে ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ অগ্রগতির ধারা ব্যাহত হয়। বাংলাদেশের বিদু্যৎ খাত বিপর্যস্ত এবং স্থাবির হয়ে পড়ে। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ আবারও মাথা উঁচু করে ওঠে দাঁড়াতে শুরু করে। ২০০৯ সাল- তখন বৈশ্বিক মন্দা বিরাজমান। এই ভয়াবহ অবস্থাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিলেন দিন বদলের সনদ 'রূপকল্প-২০২১'। তিনি ঘোষণা দিলেন ২০২১ সালের মধ্যে সবার ঘরে ঘরে বিদু্যৎ পৌঁছানো হবে। বাংলাদেশ হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ। মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে বাংলাদেশ।

প্রধানমন্ত্রী জাতিকে দেওয়া তার প্রতিশ্রম্নতি রেখেছেন। ২০২১ সালের আগেই বিদু্যৎ এখন সবার ঘরে পৌঁছেছে। বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই বিদু্যৎ খাতে তাৎক্ষণিক, স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তাৎক্ষণিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিদু্যৎ ও জ্বালানির দ্রম্নত সরবরাহ বৃদ্ধির বিশেষ বিধান আইন প্রণয়ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর এ মেয়াদে আর একটি সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। এ আইনের আওতায় স্বল্পতম সময়ে যথা, প্রথম বিদু্যৎ কেন্দ্রটির মাত্র চার মাসে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়া সম্ভব হয়েছে; যা ছিল এককথায় অবিশ্বাস্য। এ অর্জনের আওতায় নির্মিত বিদু্যৎ কেন্দ্রগুলো হতে উৎপাদিত বিদু্যৎ দেশের অর্থনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। ইওউঝ এর সমীক্ষায় দেখা গেছে কুইক রেন্টাল বিদু্যৎ কেন্দ্রের উৎপাদিত বিদু্যতের ফলে প্রতি মিলিয়ন কিলো-ওয়াট-আওয়ার বিদু্যৎ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় সামষ্টিক অর্থনীতিতে উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ৪৬ মিলিয়ন টাকা হতে ১০৭ মিলিয়ন টাকা (১৯৯৫-৯৬ এর মূল্যকে স্থির ধরে)।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী, সাহসী ও সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ফলে এক যুগে বিদু্যৎ খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে- যা বিগত ১০০ বছরেও হয়নি। 'শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদু্যৎ' এ স্স্নোগানকে সামনে রেখে সবার জন্য নির্ভরযোগ্য বিদু্যৎ সুবিধা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট ও ২০৪১ সালের ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণকল্পে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জানুয়ারি ২০০৯ হতে বর্তমান সময় পর্যন্ত ২৩ হাজার ১৯২ মেগাওয়াট বিদু্যৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। ফলে বিদু্যতের স্থাপিত ক্ষমতা ক্যাপটিভসহ ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছে যা সরকার গৃহীত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার আগেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে। বিদু্যতের সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠী ইতোমধ্যেই ১০০ ভাগে উন্নীত হয়েছে। তাছাড়া ১১ হাজার ৬০৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩০টি বিদু্যৎ কেন্দ্র প্রকল্প নির্মাণাধীন, ২ হাজার ৪২৯ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদু্যৎ কেন্দ্রের চুক্তি স্বাক্ষর এবং ৬২৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ছয়টি বিদু্যৎ কেন্দ্রের দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১০ হাজার ২৭৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৩৭টি বিদু্যৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। পুরাতন বিদু্যৎ কেন্দ্রগুলো সংরক্ষণ ও মেরামতের মাধ্যমে অতিরিক্ত বিদু্যৎ উৎপাদনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সরকারের বিগত তিন মেয়াদে বিদু্যৎ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন নির্মাণের ক্ষেত্রে ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে মোট সঞ্চালন লাইনের পরিমাণ ১৪ হাজার ৭১৭ সার্কিট কিলোমিটার এবং বিতরণ লাইনের পরিমাণ ৬ লাখ ২৯ হাজার কিলোমিটারে উন্নীত হয়েছে। বিদু্যতের সামগ্রিক সিস্টেম লস ২০০৮-০৯ অর্থবছরে ১৬.৮৫ শতাংশ হতে ৬.৫৪ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১০.৩১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

আমরা এখন গ্রাহককে নিরবচ্ছিন্ন ও মানসম্মত বিদু্যৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নত বিশ্বের মতো আধুনিক সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। স্মার্ট গ্রিড, আন্ডার গ্রাউন্ড বিতরণ ব্যবস্থা এবং গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে আগামী দিনে দেশের বিদু্যৎ ব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্বের মতো উন্নত করা হবে ইনশাআলস্নাহ।

বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়ন ও অগ্রগতির 'রোলমডেল'। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে দেশ আজ বাণিজ্য-বিনিয়োগসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ সব খাতেই এগিয়ে যাচ্ছে। 'ডিজিটাল বাংলাদেশ' বাস্তবায়িত হওয়ার পর বাংলাদেশ বর্তমানে 'স্মার্ট বাংলাদেশ' বিনির্মাণের লক্ষ্যে পথ চলছে। বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। আমাদের দায়িত্ব হবে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে দেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করে জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণ করা। তাহলেই তার আত্মা শান্তি পাবে এবং আমরা এই মহান নেতার সোনার বাংলা বিনির্মানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘ ঘোষিত ঝউএ বাস্তবায়ন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা এবং ডেলটা পস্ন্যান-২১০০ বাস্তবায়ন করা।

জয় বাংলা! জয় বঙ্গবন্ধু!

প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসাইন : মহাপরিচালক পাওয়ার সেল, বিদু্যৎ বিভাগ। চেয়ারম্যান ঢাকা সেন্টার, আইবি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে