রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২

জলবায়ুর পরিবর্তন ও আমাদের আগামী দিনের কৃষি

জলবায়ুর পরিবর্তনে দেশের কৃষিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বা আগামী দিনে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তাকে এখন থেকেই বিবেচনায় এনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার।
ড. ফোরকান আলী
  ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
জলবায়ুর পরিবর্তন ও আমাদের আগামী দিনের কৃষি
জলবায়ুর পরিবর্তন ও আমাদের আগামী দিনের কৃষি

সেচ ব্যবস্থা এবং আবহাওয়া এসবই কৃষি উৎপাদনের জন্য মূল ফ্যাক্টর। আবহাওয়ার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে কৃষি উৎপাদনের অন্য ফ্যাক্টরগুলোও পরিবর্তনশীল। কাজেই আবহাওয়া তথা জলবায়ুগত পরিবর্তন কৃষিকে প্রভাবান্বিত করবে এটাই স্বাভাবিক। বিগত শতকে পৃথিবীর তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি ফারেনহাইট বেড়েছে। যার ফলে, ইতোমধ্যে বিভিন্ন দেশে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে, জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে প্রধান ফসলের উৎপাদন ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাবে। আইপিসিসির রিপোর্ট অনুসারে ট্রপিক্যাল ও সাব-ট্রপিক্যাল অঞ্চলের স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে শস্য উৎপাদনে পানির অভাব, নতুন বা পরিবর্তনীয় পোকামাকড় ও রোগবালাইয়ের কারণে অনেকাংশে কমে যাবে। আইপিসিসি তথ্য অনুসারে দেখা যায়, পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় শস্যের উৎপাদন পরিবর্তিত আবহাওয়ায় প্রায় ২০ শতাংশ বেড়ে যাবে। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ও দক্ষিণ এশিয়ায় শস্যের উৎপাদন ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এর মিলিত ফল হিসেবে যেটা দাঁড়াবে তা হলো ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা এ অঞ্চলে বেড়ে যাবে।

জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে সারাবিশ্বেই এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে দক্ষিণ এশিয়া। যার মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। দেশের বিভিন্ন মৌসুমে তাপমাত্রার পরিবর্তন ইতোমধ্যে জলবায়ুগত পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। বিগত বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড় তাপমাত্রা প্রাক-শিল্প যুগের তুলনায় ১.৫৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস?বেশি ছিল। তুলনামূলকভাবে ২০২৩ সালে একই সময়ে এটি ছিল ১.৪০?ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই অস্বাভাবিক উষ্ণায়নের পেছনে দুটি প্রধান কারণ রয়েছে। প্রথমত, ২০২৩-২৪ সালের 'এল নিনো' বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে- যা বর্তমান উষ্ণায়ন প্রবণতা ত্বরান্বিত করেছে। দ্বিতীয়ত, মানব কার্যক্রম থেকে নির্গত গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্রমাগত বৃদ্ধি দীর্ঘমেয়াদি উষ্ণায়নের প্রধান কারণ হিসেবে কাজ করছে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সুস্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে- যা বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। জানুয়ারিতে তীব্র শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে- যা কৃষি উৎপাদন ব্যাহত করে। এপ্রিল মাসে ৭৬ বছরের মধ্যে রেকর্ডভাঙা তাপপ্রবাহ ঘটে, যা টানা ২৬ দিন স্থায়ী ছিল; এই সময়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে- যা জনজীবন ও কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। মে মাসে ঘূর্ণিঝড় রিমাল দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। যার ফলে, প্রায় ৩৭ লাখ ৫৮ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং প্রায় ৩৫ হাজার ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়।আগস্ট মাসে ফেনী জেলায় ভারী বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়, যেখানে ৯০ শতাংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ৪৮ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হয়। এই ঘটনাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরো স্পষ্ট করে তুলেছে এবং দেশের জন্য নতুন করে প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।

তাপমাত্রার পরিবর্তন শস্যের জীবনকাল বা বৃদ্ধিকে সরাসরি প্রভাবান্বিত করে। যেমন তাপমাত্রার বৃদ্ধি, শস্যের বৃদ্ধি বা উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক বছর জীবনকালের ফসলের বপন ও কর্তন সময় কমে যাবে। যেমন ভুট্টার ক্ষেত্রে কর্তন সময় ১ থেকে ৪ সপ্তাহ পর্যন্ত এগিয়ে আসবে। এতে করে শস্যের উৎপাদনশীলতা কমে যাবে। উন্নত বিশ্বের শিল্পায়নের ফলে বায়ুমন্ডলে কার্বন মনো-অক্সাইড, কার্বন ডাই-অক্সাইড, নাইট্রাস অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরো কার্বন যুক্ত হয়ে বিশ্বের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এর প্রভাবে দুই মেরুর বরফ গলে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিশ্ব জলবায়ুর এ পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশের উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বেশি। কারণ এ দেশের অর্থনীতি পুরোপুরি কৃষিনির্ভর। উন্নত বিশ্ব যারা জলবায়ুর এ পরিবর্তনের জন্য দায়ী। তারা কিন্তু খুব একটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ তাদের রয়েছে সীমিত জনসংখ্যা ও প্রচুর জমি। যেখানে শস্যের উৎপাদন হ্রাস পেলেও তাদের ওপর তেমন বিরূপ প্রভাব পড়বে না। এ দেশের কৃষি এমনিতেই নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিরাজমান। যেমন বন্যা, খরা, জোয়ার-ভাটা, শিলাবৃষ্টি, লবণাক্ততা ইত্যাদি। আর এসব দুর্যোগ মোকাবিলা করেই এগিয়ে আসতে হয়েছে। বর্তমানে দেশে প্রায় ১৮ কোটি লোকের বাস। যা প্রতি বছর ১ দশমিক ২ শতাংশ হারে বাড়ছে। ফলে, বাড়তি মানুষের জন্য আগামীতে প্রতি বছর ৫ লাখ টন বেশি খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। এহেন অবস্থায় আগামীদিনে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিধান করা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা অবশ্য করণীয় :

১. তাপমাত্রার পরিবর্তন ফসলের বিশেষ করে ধানের উৎপাদনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। তাপমাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন নতুন রোগবালাই ও পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। ধান গাছের বাড়-বাড়তির বিভিন্ন পর্যায়ে বিভিন্ন তাপমাত্রার প্রয়োজন হয়। যার ব্যত্যয় ঘটলেই ধান হতে পারে দানাশূন্য। বর্তমানে যেসব ধানের জাত দেশে চাষ করা হচ্ছে। তার অধিকাংশই '৯০-এর দশকে উদ্ভাবিত হওয়া। যার ফলে, যে কোনো মৌসুমে পরিবর্তিত আবহাওয়ায় ধানের ফলনে পড়তে পারে নেতিবাচক প্রভাব। তাই এ মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নতুন নতুন ধানের জাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রমকে জোরদার করা।

২. বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির উচ্চতা বাড়ার কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ জমি তলিয়ে যাবে। সেই সঙ্গে বেড়ে যাবে দক্ষিণাঞ্চলের জমির লবণাক্ততা। যার প্রভাবে ধানের উৎপাদন কমে যেতে পারে ৩০ শতাংশ। এ অবস্থা মাথায় রেখে এখন থেকে বিকল্প চিন্তাভাবনা করা দরকার। দক্ষিণাঞ্চলের জমিকে তলিয়ে যাওয়া বা অতি লবণাক্ততার কবল থেকে রক্ষা করা। পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় যেমন বরেন্দ্র অঞ্চল, ময়মনসিংহ অঞ্চল ও উত্তরবঙ্গের অনেক এলাকায় সেচের অভাবে জমি বোরো মৌসুমে পতিত থাকে। এসব এলাকায় সেচের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে উলেস্নখযোগ্য পরিমাণ জমি বোরো চাষের আওতায় আনা যায়। যেখান থেকে আসতে পারে ধানের বাড়তি উৎপাদন।

৩. অপরিকল্পিত অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিপুল পরিমাণ জমি কৃত্রিম জলাবদ্ধতার শিকার হয়েছে। যার ফলে, বোরো ও আমন চাষের জমির পরিমাণ বাড়ানো যাচ্ছে না। এক্ষেত্রে পরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, খাল খনন, সস্নুইসগেট স্থাপন ইত্যাদির মাধ্যমে বোরো ও আমন মৌসুমে যুক্ত হতে পারে নতুন জমি। যা বাড়াতে পারে দেশের ধানের উৎপাদন।

৪. বৃষ্টিনির্ভর ফসলের চাষ অপেক্ষা সেচনির্ভর ধান চাষে অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। এর জন্য আমাদের ভূপৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। বিগত কয়েক দশকেও আমরা আমাদের ভূপৃষ্ঠের পানি সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি। অথচ সেচ কাজে ভূপৃষ্ঠের পানির ব্যবহার বাড়ানো গেলে ভূগর্ভের পানি সম্পদের ওপর চাপ অনেক কমে যেত। কমানো যেত শস্য উৎপাদন খরচ। বাড়ানো যেত সেচের আওতায় জমির পরিমাণ। গত ৪ দশকে আমরা ১ কেজি চাল উৎপাদন করতে ব্যবহার করেছি ভূগর্ভের ৪৫০০ থেকে ৫০০০ লিটার পানির। এভাবে ভূগর্ভের পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। যার ফলে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় দেখা যাচ্ছে সেচ সমস্যার। সম্প্রতি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এডবিস্নউডি (অষঃবৎহধঃব ডবঃঃরহম ধহফ উৎুরহম) পদ্ধতির মাধ্যমে পানির অপচয় কমিয়ে ৩০ ভাগ পানি কম ব্যবহার করেও স্বাভাবিক ধানের ফলন পাওয়া সম্ভব। সময়োপযোগী এ প্রযুক্তিকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠে ছড়িয়ে দেয়া দরকার।

৫. কৃষিজমি যাতে অকৃষি খাতে চলে না যায় তার জন্য দেশে সুনির্দিষ্ট পলিসি থাকা দরকার। জলবায়ুর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা দুর্যোগকে উপেক্ষা করে দেশের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী ফসল যাতে ফলানো যায় তার জন্য কৃষিজমির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা দরকার। গ্রামীণ পর্যায়ে ঘরবাড়ি নির্মাণে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা বা আইন থাকা দরকার। যাতে করে কৃষিজমির অপচয় কমানো যায়।

৬. বর্তমানে প্রচলিত ধানের জাতগুলোর গবেষণা মাঠ ও কৃষকের মাঠে ফলনের বিস্তর পার্থক্য দেখা যায়। গবেষণা বা প্রদর্শনী পস্নটে ধানের যে ফলন দিচ্ছে। মাঠপর্যায়ে কৃষক পাচ্ছে হেক্টরপ্রতি ১ থেকে ৩ টন পর্যন্ত কম। কৃষক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়িয়ে ও সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ফলনের এ পার্থক্যকে কমিয়ে নিয়ে আসতে হবে।

৭. দেশে হাইব্রিড ধানের চাষ সম্প্রসারণ করা দরকার। বর্তমানে দেশের প্রায় ৭ শতাংশ বোরো জমিতে হাইব্রিড ধান চাষ হচ্ছে। যা কমপক্ষে ২৫ শতাংশ জমিতে সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। এশিয়ার অনেক দেশেই সরকার সরাসরি হাইব্রিড জাতের সম্প্রসারণের জন্য কাজ করছে। অথচ আমাদের দেশে হাইব্রিড জাতের ধানের সম্প্রসারণের জন্য সরকারি কোনো পরিকল্পনা নেই। এমনকি প্রাইভেট সেক্টরে যারা হাইব্রিড নিয়ে কাজ করছে ও বাজারজাত করছে তাদেরও তেমন পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে না। এ ব্যাপারে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি দেশের ধানের উৎপাদন বাড়ানোর স্বার্থে।

৮. ইউরিয়া সারের দক্ষতা বাড়ানো, অপচয় কমানো সেই সঙ্গে ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ধানের ফলন বাড়ানোর জন্য গুটি ইউরিয়াকে মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের জন্য জাতীয়ভাবে পলিসি গ্রহণ করা দরকার।

৯. কৃষক যাতে জমিতে সঠিক পরিমাণে সুষম সার দিতে পারে। যাতে করে জমির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ে সেজন্য কৃষক পর্যায়ে ঋণ হিসেবে দেয়া যেতে পারে। এতে করে দেশের মোট ধান উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে। যার সঙ্গে সঙ্গে ফসলের বিন্যাস, ফসলের জাত, চাষাবাদ পদ্ধতি পরিবর্তিত আবহাওয়ার সঙ্গে পরিবর্তন করতে হবে। দেশে ইতোমধ্যে তাপমাত্রা বাড়ার কারণে শীতের স্থায়িত্বকাল কমে যাচ্ছে। যার ফলে, ধানের উৎপাদন বেশি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আবার শীতের সময় তীব্রতা বেশি থাকায় ধানের চারা কোল্ড ইনজুরিতে মারা যাচ্ছে। মাঠে গাছের বাড়-বাড়তি ভালো হচ্ছে না। যা ফলনে বাধাগস্ত করছে। জলবায়ুর পরিবর্তনে দেশের কৃষিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বা আগামীদিনে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে, তাকে এখন থেকেই বিবেচনায় এনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার। উপরে উলিস্নখিত বিষয়গুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত ক্ষতিকে প্রশমিত করেই দেশের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ফসল উৎপাদন করা সম্ভব। তাই আগামীদিনে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি- যার মাধ্যমে পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রেক্ষাপটে দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে।

ড. ফোরকান আলী : গবেষক ও সাবেক অধ্যক্ষ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে