রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২
স্মরণীয়-বরণীয়

মিহির সেনগুপ্ত

  ১৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
মিহির সেনগুপ্ত
মিহির সেনগুপ্ত

মিহির সেনগুপ্ত (১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭-১৭ জানুয়ারি, ২০২২) ছিলেন বাংলা সাহিত্যের একজন ভারতীয় লেখক যিনি মূলত স্মৃতি আলেখ্যমূলক রচনার জন্য খ্যাতি লাভ করেন। আত্মজৈবনিক গ্রন্থ বিষাদবৃক্ষ-এর জন্য তিনি বিশেষভাবে পরিচিত। মিহির সেনগুপ্তর জন্ম দেশভাগের পরই ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানের বরিশাল জেলার, অধুনা বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার কেওড়া গ্রামে। তার বিদ্যালয়ের পড়াশোনা নিকটবর্তী কীর্তিপাশার প্রসন্নকুমার উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয়ে। ম্যাট্রিকুলেশন পাসের পর তিনি এক বছর বরিশালের ব্রজমোহন কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় চলে আসেন। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে প্রাইভেটে স্কুল ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। বিএ পড়ার সময়ই ব্যাংকে চাকরি পান। ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে চাকরিরত অবস্থাতেই তিনি ইংরাজি ভাষা ও সাহিত্যে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। মিহির সেনগুপ্ত লেখক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন গদ্য লেখক হিসেবে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে 'নাইয়া' পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে 'বর্তিকা', 'কালান্তর', 'কম্পাস' ও অন্যান্য কিছু পত্রপত্রিকাতেও লেখালেখি করেন। তিনি জন্মভূমি বরিশালকে সারা জীবনে কখনো ভুলতে পারেননি। তার সমস্ত রচনায় লেখায় ঘুরে ফিরে আবর্তিত হয়েছে বরিশালে অতিবাহিত দিনগুলোর স্মৃতি আর স্থানীয় ভাষা। দেশভাগ, হিন্দু-মুসলমান সম্পর্কের অভিযাত্রা ছুঁয়ে বাঙালির জীবনযাপনের ইতিহাসের কথা তার বিভিন্ন রচনায় স্থান পেয়েছে। তার রচিত গ্রন্থের মধ্যে উলেস্নখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো- বিষাদবৃক্ষ, ধানসিদ্ধির পরণকথা, টিলা অরণ্যের পাকদন্ডী, বিদুর ইত্যাদি। মিহির সেনগুপ্ত সিদ্ধিরগঞ্জের মোকাম গ্রন্থটির জন্য ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে 'বাংলাদেশ শ্রম্নতি একাডেমি'তে 'শ্রেষ্ঠ রচনা'র জন্য সম্মানিত হন। তিনি ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে বিষাদবৃক্ষ গ্রন্থের জন্য কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা গোষ্ঠীর আনন্দ পুরস্কার লাভ করেন। শেষের দিকে মিহির সেনগুপ্ত বস্নাড ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০২২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার এক হাসপাতালে তার জীবনাবসান হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে