অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গণপরিবহণ সেক্টরে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন ছিল প্রত্যাশিত। এই সরকার সংবিধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার নিয়ে আসছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কমিশনও গঠিত হয়েছে। কমিশন ইতিমধ্যে রিপোর্টও জমা দেওয়া শুরু করেছে। তাই গণপরিবহণের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ খাতে সংস্কারও ছিল জনআকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রে। কিন্তু পরিবহণ খাত নিয়ে কোনো সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। প্রশ্ন হচ্ছে, গণপরিবহণ খাতে সংস্কারটা তাহলে কবে?
বাস্তবতা হচ্ছে- রাজধানীবাসীর কাছে দিন দিন অসহনীয় দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠছে গণপরিবহণ ব্যবস্থার অপ্রতুলতা। শুধু তাই নয় ভোগান্তির তালিকা দিন দিন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, এখানকার পরিবহণ ব্যবস্থা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, রাস্তার সার্বিক পরিস্থিতি ক্রমেই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে। যাচ্ছেতাইভাবে সবকিছু চলাটাই যেন অনেকটা রেওয়াজে পরিণত হয়েছে। নাগরিকরা সবচেয়ে অসহায় বোধ করে পরিবহণের জন্য অপেক্ষার সময়। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে রাজধানীর রাস্তাঘাটগুলোর বেহাল দশার কারণে এই ভোগান্তি আরও বেড়ে গেছে।
গণপরিবহণের অব্যবস্থাপনা দুঃসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে অনেক আগেই। কোথাও যাওয়ার জন্য নাগরিকদের রাস্তায় নেমেই এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়। গন্তব্যে যাওয়ার জন্য তাড়া আছে কিন্তু যানবাহনের তীব্র সংকট। অফিসে যাওয়া, বাচ্চার স্কুল, বিয়ে-দাওয়াত, পার্টিতে যাওয়া, এমনকি রোগী নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া-প্রয়োজনীয় কোনো গন্তব্যেই যে সময়মতো পৌঁছানো যাবে তার কোনো গ্যারান্টি নেই। বাসে উঠতে গেলে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ট্যাক্সিক্যাব অপ্রতুল, ভাড়াও অতিরিক্ত। সিএনজিচালিত অটোরিকশা মিটার বহির্ভূত অধিক ভাড়া নিয়েও প্রয়োজনীয় গন্তব্যে যেতে নারাজ। এর বাইরে বিকল্প যানবাহনও অপ্রতুল। এ অবস্থায় মানুষজনের ভোগান্তির কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। যানজটের কারণে তো রাজধানী স্থবির হয়ে থাকে অধিকাংশ সময়। অথচ একটি দেশের রাজধানীর কর্মচঞ্চলতা যদি এভাবে রাস্তাতেই নষ্ট হয় তাহলে সেই দেশের ভূতভবিষ্যৎ যে কি, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
যানজটের ফলে নষ্ট হচ্ছে কর্মঘণ্টা, বাড়ছে রোগ-ব্যাধি। এছাড়া যানজট একটি স্থায়ী সমস্যা হিসেবে দেখা দেওয়ায় পরিবহণ খাতে বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে এগুনো ছাড়া কোনো উপায় নেই। যানজট সমস্যার সমাধান না হওয়ায় প্রতিদিনই অনেক কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। পিছিয়ে যাচ্ছে উন্নয়ন। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে অগ্রগতি। শুধু তাই নয়, শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে নানা সংক্রামক ব্যাধিতেও আক্রান্ত হচ্ছে রাজধানীর বিপুলসংখ্যক মানুষ। যানজটে নগরবাসীর প্রাত্যহিক জীবনযাত্রাও মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে দিন দিন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা যায়, যানজটের কারণে বছরে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ ৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সব রুটে যাত্রীদের চলাচলে কমপক্ষে ৩ কর্মঘণ্টা সময় অপচয় হয় প্রতিদিন। যানজটের কারণে বিপুল পরিমাণ জ্বালানিরও অপচয় হয়। কিন্তু এ থেকে পরিত্রাণের যেন কোনো উপায় নেই। বিভিন্ন সময়ে নানামুখী কর্মসূচি-পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়েছে খুবই কম। ফলে সমস্যা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়ে গেছে। অথচ দুর্বিষহ যানজটের জন্য পরিকল্পনা ও সমন্বয়হীনতার অভাবকেই দায়ী করা হয়।
রাজধানীতে দিন দিন জনসংখ্যা বেড়ে চলেছে। সেই সঙ্গে পালস্না দিয়ে বাড়ছে যানবাহনের। কিন্তু সে তুলনায় রাস্তাঘাট বাড়ছে না। রাজধানীতে রাস্তার তুলনায় প্রায় ৩ লাখ যানবাহন বেশি চলছে। এছাড়া প্রতিদিন গড়ে ২৩০টি নতুন গাড়ি রাস্তায় নামছে। আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী যে কোনো শহরে মোট আয়তনের শতকরা ২৫ ভাগ যান চলাচলের জন্য রাস্তা থাকা আবশ্যক। ঢাকা শহরের মোট আয়তন ৮১৫ দশমিক ৮৫ কিলোমিটার। এ হিসেবে ২০৪ কিলোমিটার রাস্তার প্রয়োজন হলেও ঢাকা শহরে প্রধান রাস্তার পরিমাণ মাত্র ৮৮ কিেিলামিটার। এই পরিমাণ রাস্তায় ৫ লাখ যানবাহন চলাচল করছে। অথচ আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী এই পরিমাণ রাস্তায় ২ লাখ ১৬ হাজার যানবাহন চলাচল করার কথা।
এর ফলে যানজট এক অনিবার্য বাস্তবতা হিসেবে দেখা দিয়েছে। এছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থা ঠিকমতো কাজ না করায় যানজট থেকে মুক্তি পাচ্ছে না রাজধানীবাসী। যানজট নিয়ন্ত্রণে কঠোর ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ, প্রাইভেট গাড়ির ওপর নিয়ন্ত্রণ, যত্রতত্র পার্কিং নিষিদ্ধ করা, রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নদীপথ এবং ঢাকার ভেতরের খাল দখলমুক্ত করে নৌপথের উন্নয়ন করা, রিকশামুক্ত সড়কসহ নানা পরিকল্পনার কথা বলা হয়। কিন্তু এগুলো নিয়ে কথাবার্তা যতটা হয় কাজ ততটা হয় না, তা যানজটের চিত্রই বলে দেয়।
যানজট এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে যে, এ থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। যানজট বর্তমান নগরবাসীকে স্থবির ও অচল করে রেখেছে। এই অবস্থা দীর্ঘায়িত হলে এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক ফলাফল হবে অত্যন্ত ভয়াবহ। এজন্য পরিবহণ খাতে একটি স্বস্তিদায়ক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। এ জন্য অবকাঠামো, সুশাসন, অযান্ত্রিক পরিবহণ, পরিবহণের পরিদর্শন ও ব্যবস্থাপনা, ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যগত বিষয়গুলো নিয়ে ভাবতে হবে। পরিবহণ সেক্টরে নৈরাজ্য বন্ধ এবং একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ বিআরটিসিকে সচল করতে হবে।
ঢাকার গণপরিবহণ ব্যবস্থায় এক অরাজক অবস্থা বিরাজ করছে। জীর্ণশীর্ণ বাসগুলো সিটিংয়ের নামে 'চিটিং' করছে যাত্রীদের সঙ্গে। ব্যস্ত সময়ে লোকাল বাসগুলোও হয়ে যাচ্ছে সিটিং বাস। এতে একদিকে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে অন্যদিকে লোকালবাসে সিটিংয়ের নামে স্বল্প যাত্রী বহন করায় শত শত যাত্রীর অপেক্ষাকে দীর্ঘতর করছে তারা। মানহীন ভাঙাচোরা রংচটা বাস, যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ নানা অনিয়মের বেড়াজালে যাত্রীদের বন্দি করছে। সেবা নয়, মুনাফাই এদের আসল উদ্দেশ্য। এ অবস্থায় একটি গতিশীল পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত বিআরটিসিকে সচল করতে হবে।
দেশে যদি সত্যিকার অর্থে গণপরিবহণ বলে কিছু থাকত, তাহলে বেসরকারি বাস মালিকরা যে এই নৈরাজ্যকর অবস্থা তৈরি করতে পারত না, সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে, গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠতেও এই চক্র প্রবল বিরোধিতা করে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ সংস্থার (বিআরটিসি) বাস চলাচলেও চরম অসহযোগিতা করে পরিবহণ খাতে একচেটিয়া প্রাধান্য বজায় রাখছে বেসরকারি পরিবহণ ব্যবসায়ীরা। এর ফলে যাত্রী ভোগান্তির কোনো সীমা-পরিসীমা নেই। অপরদিকে বিআরটিসি নিজেও যেন ধুঁকে ধুঁকে মরছে। রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানটি চরম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে ক্রমাগত লোকসানী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বিআরটিসি বিকল্প পরিবহণ ব্যবস্থা হিসেবে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছে। ফলে জনসাধারণের ভোগান্তি বেড়েছে। একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে না ওঠায় বেসরকারি পরিবহণ মালিকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। পরিবহণ খাতকে নানাভাবে জিম্মি করে রাখছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বিআরটিসিকে সচল করার কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু কাজটি অতটা সহজ নয়, বিআরটিসিকে কোণঠাসা করতে বেসরকারি পরিবহণ মালিকরা একাট্টা। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় উত্তরাঞ্চলে বিআরটিসির সার্ভিস চালু হলে ওই অঞ্চলের মানুষজনের কাছে তা ব্যাপক সমাদৃত হয়। কিন্তু বেসরকারি পরিবহণ মালিকদের তা চক্ষুশূলের কারণ হয়। তারা জনপ্রিয় এ সার্ভিস বন্ধে নানা ধরনের তান্ডব চালায়। এমনকি ধর্মঘট ডেকে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে। অবশেষে সরকার পিছু হটতে বাধ্য হয়। অথচ ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশ বলে রাষ্ট্রীয় পরিবহণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিআরটিসির বাস দেশের যে কোনো স্থানে চলাচলের অধিকার রাখে। সরকার দেশে স্বল্পমূল্যে দ্রম্নত, দক্ষ, আরামপ্রদ, আধুনিক ও নিরাপদ সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে ৮০'র দশকে বিআরটিসি বাস সেবা চালু করে। কিন্তু এরপর থেকেই প্রতিষ্ঠানটির পেছনে নানা কুচক্রী মহলের দৃষ্টি পড়ে। ২০০৪ সালে তৎকালীন জোট সরকারের যোগাযোগ মন্ত্রী বেসরকারি পরিবহণ মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক চুক্তি করেন। পরবর্তীতে এই চুক্তির দোহাই দিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন রুট থেকে বিআরটিসির বাস উঠিয়ে দেওয়া হয়।
রাজধানীতেও বিআরটিসির পরিবহণ সেবা ক্রমে ক্রমে সীমিত হয়ে আসছে। বিভিন্ন সময়ে বিআরটিসিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা দেখা গেছে কিন্তু কিছুদিন না যেতেই অজানা কারণে বাসগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে। দোতলা ভলভো বাসে সামান্য ত্রম্নটি দেখা দিলেই তা মেরামত না করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাস মেরামতের চেয়ে নতুন বাস কেনার দিকেই আগ্রহ বেশি বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের। তাছাড়া গণহারে লিজ দেওয়ার ফলেও বিআরটিসিতে চলছে যাচ্ছেতাই কারবার।
আসলে মুক্ত বাজারের নামে বেসরকারি পরিবহণ মালিক-শ্রমিকরা এখন পরিবহণ খাতকে জিম্মি করে ফেলেছে। রাজধানীতে প্রায় ২২ হাজার ছোট-বড় বাস চলে। এ সবের মালিক মাত্র ২ হাজার জন। দেখা যাচ্ছে অল্প কিছু মানুষ রাজধানীর সামগ্রিক পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পেতে হলে বিআরটিসিকে সচল করার কোনো বিকল্প নেই। সারাদেশে বিআরটিসির বাস চলতে দিতে হবে প্রয়োজনীয় সংখ্যায়। বিশেষ করে রাজধানীতে বাসের সংখ্যা বাড়ানো একান্ত অপরিহার্য। জনস্বার্থে বিআরটিসিকে সচল করা এবং একটি সুষ্ঠু প্রতিযোগিতামূলক প্যারালাল গণপরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এখন সময়ের দাবি। সরকারকে মনে রাখতে হবে মুষ্ঠিমেয় লোকের দুর্নীতি, লোভ ও লাভের কারণে গণপরিবহণের নৈরাজ্য আমাদের নিয়তি হতে পারে না।
ঢাকার রাস্তায় একই সঙ্গে চলছে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারি ও পায়ে চালিত রিকশা ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। ফলে এক জগাখিচুরি অবস্থার কারণে যানজট এখানে নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জন্য একটি সুসমন্বিত পরিকল্পনা নিয়ে এগুনো প্রয়োজন। সড়ক পথের উন্নয়নের পাশাপাশি ঢাকার চারপাশের নৌপথগুলো চালু করা দরকার। নৌপথে যাতায়াত অপেক্ষাকৃত সস্তা এবং স্বস্তিদায়কও বটে। এ জন্য বুড়িগঙ্গা ও তুরাগসহ অন্য নদীগুলোর দখল, দূষণ বন্ধ করতে হবে। ঢাকার খালগুলো পুনরুদ্ধার করে সেগুলোতেও নৌরুট চালু করা যায়। গণপরিবহণের অব্যবস্থাপনা এবং যানজট দূর করে স্থবির ঢাকাকে বদলে না দিতে পারলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু একটি দেশের প্রাণকেন্দ্র রাজধানীকে অচলাবস্থায় রেখে তা আদৌ সম্ভব। এ কারণে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে; এবং তা অত্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে। রাজনৈতিক সরকারগুলো গণপরিবহণ খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়নি। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে এ বিষয়ে নাগরিক প্রত্যাশা অত্যন্ত জোরালো। তারা চাইলে পরিবহণ খাতে সংস্কার এনে আমূল পাল্টে দেওয়া সম্ভব।
ড. হারুন রশীদ : সাংবাদিক, কলামিস্ট
ফৎযধৎঁহ.ঢ়ৎবংং@মসধরষ.পড়স