শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত জনজীবন

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৮.৭ ডিগ্রি
যাযাদি ডেস্ক
  ০১ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

তীব্র শীত জেঁকে বসেছে দেশে। ঘন কুয়াশার পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। কোনো কোনো এলাকায় দুপুরেও সূর্যের দেখা মিলছে না। প্রায় প্রতিদিনই তাপমাত্রা নেমে যাচ্ছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছিন্নমূল মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। নিতান্তই প্রয়োজন কিংবা জীবিকার তাগিদ ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না কেউ। পৌষের তীব্র কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার জনজীবন।

শনিবার দুপুর পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা ছিল রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা। উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করেছে যানবাহন।

এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া এবং আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ৯ ঘণ্টা ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। দুপুরের আগে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইট উড্ডয়ন না করায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরে কোনো ফ্লাইট অবতরণ ও উড্ডয়ন করেনি।

গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি

সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহে জেলায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃষ্টি হলে তাপমাত্রা আরও কমতে শুরু করবে। এ ছাড়া জানুয়ারি মাসে জেলার ওপর দিয়ে দুটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।

দিনাজপুর-পার্বতীপুর রোডের ট্রাক চালক আতা মিয়া বলেন, 'ঘন কুয়ায়ায় ২০ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য ফুল হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'

জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার বড় গ্রামের ইট ভাটার শ্রমিক রহিম সরকার বলেন, 'দুই দিন ধরি ভাটায় যাইনি। পানির মতো শীত পড়ছে, আর ঘন কুয়াশা বাতাসের কারণে বাসায় বসে আছি। কাজে গেলে ঠান্ডায় হাত-পা কোকড়া নাগি যাছে।'

এদিকে, ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হারও বেড়েছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ দ্বিগুণ বেড়েছে।

উত্তরের জেলা নীলফামারীতে সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে পরদিন দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় ঢাকা থেকে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে ছাড়েনি কোনো ফ্লাইট। এতে বিঘ্ন ঘটছে বিমানবন্দরের কার্যক্রমে।

বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মজিবুর রহমান বলেন, 'ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরে বিমান চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। দৃষ্টি সীমানা পরিমাপ করছি। কোনো ফ্লাইট বাতিল করা হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ঢাকা থেকে বিমান উড্ডয়ন করবে।'

ঘন কুয়াশার কারণে চিলাহাটি-খুলনা রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চিলাহাটি থেকে ৩০ মিনিট বিলম্বে ছাড়ে।

সিরাজগঞ্জেও জেঁকে বসেছে শীত। সকাল থেকেই দেখা মিলছে না সূর্যের। এতে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ পড়েছেন বিপাকে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না কেউ। শনিবার জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

তাড়াশ আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, 'সিরাজগঞ্জে এ মুহূর্তে কোনো শৈত্যপ্রবাহ নেই। তবে সিরাজগঞ্জ নদী ও বিল অঞ্চল হওয়ায় কুয়াশার কারণে সূর্যের দেখা মিলছে না। আগামী মঙ্গলবার থেকে সূর্যের দেখা মিলতে পারে।'

তীব্র কুয়াশার কারণে জেলার মহাসড়ক ও আঞ্চলিক রাস্তাগুলোতে ও গাড়ির চাপ কম রয়েছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রিকশা ও ইজিবাইকচালকদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে। গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়।

বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন ইয়াজদানী বলেন, 'কুয়াশার তীব্রতায় দূরের কিছু চোখে পড়ে না। ফলে একটু ধীরগতিতে গাড়িগুলো চলাচল করছে। তবে কোনো যানজট নেই।'

এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি, জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যা বেশি।

যশোরে শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। গত কয়েকদিন ধরেই শীত অনুভূত হচ্ছে। হিমেল হাওয়ার সঙ্গে কুয়াশাও ছড়িয়ে পড়েছে।

যশোরের স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার যশোরে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর শুক্রবার এই জেলায় সর্বনিম্ন ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর দু'দিন ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে হঠাৎ করেই তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। এই তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নওগাঁ, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আর অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এদিকে, কাঁপন ধরানো ঠান্ডায় মানুষের পাশাপাশি প্রাণিকূলেরও জবুথবু অবস্থা। হঠাৎ শীতে মানুষের পাশাপাশি পশুপাখিরাও নাকাল হয়ে পড়ছে। শহরের তুলনায় গ্রামে শীতের তীব্রতা বেশি।

যশোর শহরের রেলগেট রায়পাড়া এলাকার রিকশাচালক মনির হোসেন জানান, হঠাৎ করেই শীত বেড়ে গেছে। সকালে ও রাতে জোরে রিকশা চালালে শরীরে বাতাস সূচের মতো ফুটছে। হাত পা অবসের মতো হয়ে যাচ্ছে।

রাতে যশোর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, শীতে ছিন্নমূল মানুষেরা স্টেশনের বারান্দায় ছেঁড়া কাঁথা-কম্বল কিংবা বস্তা দিয়ে নিজেকে মুড়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবুও শীতে কাঁপছেন অসহায় মানুষগুলো। রেলস্টেশনের বারান্দায় শুয়ে থাকা আলী মিয়া শীতের কাঁপুনিতে জানালেন, 'বাবা খুব কষ্ট হচ্ছে'। অন্যবার সরকার কম্বল দেয়, বড় লোকরা ল্যাপ-কম্বল-পুরনো জামা কাপড় দেয়। এ বছর এখনো কিছু পাইনি।

শীতের তীব্রতায় ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশিসহ ঠান্ডাজনিত রোগে ভুগছে শিশু ও বৃদ্ধরা। গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষ জানায় শীতের তীব্রতা ও শীতের গরম কাপড়ের অভাবে কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে। সঠিক সময়ে কাজে যেতে পারছেন না তারা। তাই শীতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া মানুষ। এদিকে, শীত বৃদ্ধি পাওয়ায় যশোর কালেক্টরেট ও নিকসন মার্কেটে ভিড় বেড়েছে। শীতের পোশাক বেচাবিক্রিও বেড়েছে বলে বিক্রেতারা জানিয়েছেন।

শুক্রবার ও শনিবার তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের হিসেবে পঞ্চগড়, নীলফামারী ও শ্রীমঙ্গলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শনিবার শ্রীমঙ্গলে ৯ দশমিক ৩, নীলফামারীর ডিমলায় ৯ দশমিক ৮ এবং সৈয়দপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তবে দিনের কড়া রোদের কারণে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা খুব বেশি একটা না কমায় হাড়কাঁপানো শীত অনুভূত হয়নি।

পঞ্চগড়ে গত দুইদিন থেকে ঘন কুয়াশা চোখে পড়ছে না। আকাশ মেঘমুক্ত থাকায় সকাল সকাল দেখা মেলে সূর্যের। এরপর থেকেই শুরু হয় কড়া রোদ। তবে সন্ধ্যা নামতেই হালকা কুয়াশার সঙ্গে শুরু হয় উত্তরের কনকনে শীতল বাতাস। সকাল পর্যন্ত ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা পৌঁছে যায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়ায় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, শুক্রবারের মতো শনিবারও তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দমমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সূর্যোদয়ের পর হতে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত দিনভর কড়া রোদ থাকায় দিনের তাপমাত্রা আগের দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাতে উত্তরের হিমেল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় তাপমাত্রা কমে আসছে।

শেরপুরের নকলায় হাড় কাঁপানো শীতে জনজীবন বির্পযস্ত হয়ে পড়েছে। আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন নকলার ছিন্নমূল মানুষ। ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক ছিন্নমূল মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে কষ্ট ভোগ করছেন। মধ্যরাত থেকে লতা পাতা জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছেন অনেকেই। সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে এখনো শীতার্তদের মাঝে তেমন গরম কাপড় বিতরণ করা হয়নি। ভুক্তভোগীদের দাবি শীত নিবারণে গরম কাপড় বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসা দরকার। শীত মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা বলেন, শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোটা ভাইরাসজনিত ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ে। সাধারণত শিশুরা এতে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই শিশুদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। ঠান্ডা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

ঘন কুয়াশার কারণে শুক্রবার রাত ১টা থেকে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা বন্ধের পর ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা কাজীরহাট নৌ-রুটে। এ সময় ফেরি পারাপারের জন্য ঘাট এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি ৩ কিলোমিটার বিস্তৃত হয়। ফেরি চলাচল না করায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন বিআইডবিস্নউটিসি আরিচা অফিসের সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত ১টার দিকে কুয়াশার ঘনত্ব বাড়তে থাকায় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী দিগন্ত বাসের চালক জয়নাল হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৬টায় বাস ছেড়ে সাড়ে ৮টার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। ঘন কুয়াশায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটে যানজটের কারণে দুপুর ১২ পর্যন্ত অপেক্ষায় থেকেও ফেরি পারাপার হতে পারেননি তিনি।

আরিচা অফিসের বিআইডবিস্নউটিসির এজিএম আব্দুল সালাম রহমান জানান, গত শুক্রবার রাত ১টা থেকে ঘন কুয়াশায় নৌ-পথ দেখা না গেলে নৌ-দুর্ঘটনা এড়াতে পাটুরিয়া- দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজীরহাট নৌ-রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। সকাল সাড়ে ১০টার পর ঘন কুয়াশা কমতে থাকলে এ দুই নৌ-রুটে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে।

* প্রতিবেদনটি তৈরিতে স্টাফ রিপোর্টার যশোর ও নীলফামারী, সিরাজগঞ্জ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, তেঁতুলিয়া (দিনাজপুর), শিবালয় (মানিকগঞ্জ) ও নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধির পাঠানো তথ্যের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে