বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন হবে :সিইসি

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ মে ২০২৩, ০০:০০
রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন করা কঠিন হবে :সিইসি

এখন সবার দৃষ্টি পাঁচ সিটি নির্বাচনের দিকে উলেস্নখ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, 'নির্বাচনকালীন সরকারের রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকলে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) একার পক্ষে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন করা কঠিন হবে দৃশ্যমানভাবে ভালো নির্বাচন করতে না পারলে ভোট প্রশ্নবিদ্ধ হবে।'

সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কথা বলেন তিনি। জাতীয় নির্বাচনের আগে পাঁচ সিটি নির্বাচন নিয়ে সিইসির সঙ্গে বৈঠক করেছে জাপার প্রতিনিধি দল। এ সময় আচরণবিধি লঙ্ঘনের উদ্বেগের মধ্যে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কার কথা জানায় জাপা।

এ সময় নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গকারীদের শাস্তির আওতায় আনার বিষয়ে সিইসি বলেন, 'নির্বাচনে অসংখ্য আচরণবিধি লঙ্ঘন হবে। সবকিছু আমলে নেওয়ার মতো হবে না। কারণ হচ্ছে, লোম বাছতে গিয়ে যদি কম্বল উজাড় করে ফেলি সেটা খুব বাস্তব হবে না। আমি বলেছি, দিন শেষে মানুষ যেটা জানবে যে নির্বাচনটা কেমন হলো।'

সিইসি বলেন, 'জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা জানিয়ে আমাদের বলেছেন, উনারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। এজন্য উনাদের ধন্যবাদ জানিয়েছি। আমরা বলেছি নির্বাচনটা যতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে ততই অধিকতর অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচনটা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর মাধ্যমেই নির্বাচনে এক ধরনের ভারসাম্য গড়ে ওঠে, যার ফলে কাঙ্ক্ষিত অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন তার উদ্দেশ্য অনেকটা অর্জিত হয়ে থাকে।'

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'এটাও উনারা বলেছেন, আমরাও স্বীকার করেছি যে, এটা গ্রাউন্ড রিয়েলিটি। সরকারের যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা না থাকে তবে নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা কঠিন।'

তিনি বলেন, 'আমরাও স্বীকার করেছি এবং আমরাও জোর দিয়ে বলেছি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে সরকার বিদ্যমান থাকবে, রাজনৈতিক

সদিচ্ছা অবশ্যই প্রয়োজন হবে। আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশন এককভাবে কখনোই একটি অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে পারবে না, যদি সংশ্লিষ্ট সবাই প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো।'

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, 'ইভিএমে সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, এতে উনারা খুশি। তবে এতে অনেক কিছু আছে বলেছে, আমরা তা মেনে নিইনি। আমরা বলেছি, তাহলে '১৮ সালের নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হয়নি। কারণ সেটা ইভিএমে নয়, ব্যালটে হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, ব্যালটে নির্বাচন হলে কোনো অনিয়ম হবে না। যেমন '১৮ সালেও হয়নি, আগামীতেও হবে না। ব্যালটে হোক আর ইভিএমে হোক আমরা চেষ্টা করব নির্বাচনটা যাতে শুদ্ধ হয়।'

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, 'স্বচ্ছতার সার্টিফিকেট আমি তো প্রশাসন থেকে নেব না, মিডিয়া থেকে নেব, তাই গাজীপুরে বলে এসেছি আইন-শৃঙ্খলা বৈঠকে মিডিয়াকে যেন কোনো বাধা দেওয়া না হয়। আমরা মিডিয়ার ভূমিকাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে থাকি।'

এদিন সকালে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ বৈঠকে অংশ নেয়। এ সময় সিইসির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে