বন্ধের নোটিস প্রত্যাহার করে খুলে দেওয়া হয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক আলোচিত শিল্পগ্রম্নপ এস আলমের বন্ধ করে দেওয়া নয়টি কোম্পানি। এসব কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বুধবার কাজে যোগ দিয়েছেন বলে এস আলম গ্রম্নপের ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মোহাম্মদ হোসেন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'ফরেন এলসি বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে কাঁচামাল আমদানি করা যাচ্ছে না। তাই স্থানীয় বাজার থেকে যতটুকু কাঁচামাল সংগ্রহ করা হবে সে হিসেবে বৃহস্পতিবার থেকে উৎপাদন চালানো হবে।'
কাঁচামাল না থাকার কারণ দেখিয়ে গত ২৪ ডিসেম্বর এস আলম গ্রম্নপের বিদু্যৎ কেন্দ্রসহ মোট ৯টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে গ্রম্নপটি। এসময় কার্যক্রম না চললেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা পরিশোধের প্রতিশ্রম্নতি দেওয়া হয়।
এস আলম রিফাইন্ড সুগার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার পস্ন্যান্ট লিমিটেড, এস আলম পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড, ইনফিনিটি সিআর স্ট্রিপস ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, চেমন ইস্পাত লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড, এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলস লিমিটেড-এনওএফ, এস আলম স্টিল ও এসআলম ব্যাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওই নোটিস দেওয়া হয়। বন্ধের নোটিস জারির এক সপ্তাহ পর ৩১ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলো।
ক্ষমতাচু্যত আওয়ামী লীগের আমলে সুবিধাভোগী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত এস আলম গ্রম্নপ সরকার পতনের পর থেকে কারখানা চালু রাখতে অর্থ সংকটের কথা বলে আসছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নামে ও ভিন্ন নামে বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া শিল্পগ্রম্নপটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ বিদেশে চলে গেছেন। এখন নতুন করে ঋণ দেওয়া হচ্ছে না এ গ্রম্নপের কোম্পানিগুলোকে। তাতে দৈনন্দিন কাজ চালাতেও চাপে পড়েছে তারা।
অনিয়ম ও জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে তাদের বিরুদ্ধে।