বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২

নতুন যুগের সূচনা হলো :প্রধান বিচারপতি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
আপডেট  : ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৩
নতুন যুগের সূচনা হলো :প্রধান বিচারপতি
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের মূলভবন ও এজলাসকক্ষ উদ্বোধন করেন

'২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের সংস্কার করা মূলভবন ও এজলাসকক্ষ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে নতুন যুগের সূচনা হলো। '

মঙ্গলবার সংস্কার করা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের মূলভবন ও এজলাসকক্ষের উদ্বোধন করে এ মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

1

এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদার, অ্যার্টনি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই ভূ-খন্ডের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে ঐতিহাসিক এই স্থাপনাটি ?'ঢাকা হাইকোর্ট' বা 'পুরাতন হাইকোর্ট ভবন' হিসেবে যে মহান ঐতিহ্য ধারণ করে আছে, ২০২৪ এর জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার কার্যক্রমে স্বচ্ছতা আনয়ন, যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া ও ন্যায়বিচারের নীতিগুলোর অনুসরণের মাধ্যমে তা নতুন মাত্রায় পূর্ণতা পাবে।

ট্রাইবু্যনালের প্রতি প্রধান বিচারপতির প্রত্যাশা সম্পর্কে তিনি বলেন, একজন সাধারণ নাগরিক তার হৃদয় উৎসারিত অকৃত্রিম চেতনাবোধ থেকে সমগ্র জাতির

নৈতিক সমর্থনপুষ্ট একটি গণজোয়ার রুখতে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের প্রতি যে প্রত্যাশা রাখেন প্রধান বিচারপতিও ঠিক অনুরূপ প্রত্যাশা রাখেন।

এদিকে, নতুন রূপে সজ্জিত হওয়া ভবনটি ১৯০৫ সালে 'গভর্নর হাউজ' হিসেবে প্রতিষ্ঠিত পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটি পাকিস্তান আমল থেকে 'ঢাকা হাইকোর্ট'

হিসেবে ব্যবহার হচ্ছিলো।

২০১০ সালে শুরু হওয়া একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের পুরো বিচার কাজ সম্পন্ন হয় এই ভবনে। তাদের মৃতু্যদন্ড কার্যকরের পর ব্যবহার কমে আসে ভবনটির। তবে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় শেখ হাসিনা সরকারের সময় ট্রাইবু্যনালটি পাশের টিনশেড স্থাপনায় স্থানান্তর করা হয়।

জানা যায়, পূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন পুরাকীর্তি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে ভবনটি 'ব্যবহার অনুপযোগী' ও 'পরিত্যক্ত' ঘোষণা করে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হওয়ার আগেই জুলাই-আগস্টের অভু্যত্থানের মধ্যদিয়ে পতন হয় আওয়ামী ফ্যাসিজমের।

গত ১৪ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপন জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল পুনর্গঠন করা হয়। ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্যদিয়ে শুরু হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনালের বিচারিক কার্যক্রম।

ট্রাইবু্যনালের পুরাতন ঐতিহাসিক এ ভবনের সংস্কার কাজ চলমান থাকায় আপাতত ভবন সংলগ্ন অস্থায়ী টিনশেড ঘরেই চলছিল ট্রাইবু্যনালে বিচারিক কার্যক্রম।

এর আগে সংস্কার কাজ শেষে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবু্যনাল ভবন যে নান্দনিক রূপে দেখা যাবে তার ছবি প্রকাশ করে ফেসবুকে পোস্ট দেন ট্রাইবু্যনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটির এই সংস্কার কাজ গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পন্ন করেছে। সংস্কার কাজ মনিটরিংয়ে কয়েক দফা সরেজমিন পরিদর্শন করেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে