সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
৪৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদও খালি

দুর্গাপুরে প্রধান শিক্ষক নেই ২৬ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
  ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ২৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পূর্ণ মর্যাদার প্রধান শিক্ষক নেই। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদানসহ অন্যান্য কার্যক্রম। এই বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক না থাকায় সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থেকে একই সঙ্গে দুই দায়িত্ব পালন করেছেন। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদেরকেও। অন্যদিকে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যবস্থা পিছিয়ে পড়ছে।

শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করতে হলে শিগগিরই এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা দরকার বলে মনে করছেন শিক্ষক ও অভিভাবকরা।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানিয়েছে, দুর্গাপুর উপজেলায় সাতটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১২৬টি বিদ্যালয় রয়েছে। যার মধ্যে ২৬টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদ শূন্য। ৪০টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক চলতি দায়িত্বে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া ৪৬টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।

চৈতাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাজেদা খাতুন জানান, তাদের বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য রয়েছে। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। বিদ্যালয় এবং অফিসের কাজ দুটোই করতে হচ্ছে ফলে বেশি চাপে থাকতে হচ্ছে। তাই দ্রম্নত একজন প্রধান শিক্ষকের দাবি জানান তিনি।

মুজিবনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া জানান, স্কুলটি জাতীয়করণ হওয়ার পূর্বে থেকেই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তবে জাতীয়করণের পরে প্রধান শিক্ষক না হয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে গেজেট প্রকাশ হলে হাইকোর্টে রিট করেন। বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এসব বিষয় নিয়ে স্থানীয়রা জানান, প্রায়ই বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও প্রধানও সংকট রয়েছে। এভাবে চললে শিক্ষার গুণগত মান ক্ষুণ্ন হবে। দ্রম্নত এ শূন্য স্থানে শিক্ষক প্রদান করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে।

এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শূন্য পদগুলো পদোন্নতি দিয়ে পূরণ করা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমরা জানিয়েছি।

নেত্রকোনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তাহমিনা খাতুন জানান, শূন্য পদগুলো পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ করা হবে। এটির একটি প্রক্রিয়া চলছে। তবে নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না কিন্তু হয়ে যাবে তাড়াতাড়ি আশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে