সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
নোয়াখালীতে তোপের মুখে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা

মুরগির খামারের নিচে মাছের খামার বন্ধের নির্দেশ খাদ্যমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
  ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
নোয়াখালীতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার -যাযাদি

নোয়াখালীতে মুরগির মল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমন সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে খাদ্যমন্ত্রীর তোপের মুখে পড়েছেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা। মঙ্গলবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় নিরাপদ খাদ্যের ভূমিকা বিষয়ক কর্মশালায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ আয়োজিত কর্মশালায় মুরগির মল খাওয়ানো মাছ খাওয়া মানব দেহের জন্য কতটা নিরাপদ এমন প্রশ্ন তোলেন জেলা সদরের কাদির হানিফ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম। এ সময় জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, জেলার বিভিন্ন স্থানে মুরগির খামারের নিচে মাছের খামার করা হয়েছে। এসব খামারে মুরগির মল মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তার মুখে এমন কথা শুনে কর্মশালার প্রধান অতিথি খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বিস্ময় প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে মন্ত্রী বলেন, মুরগির খামারের নিচে মাছের খামার করে অবৈধ ব্যবসা চলছে আপনারা মৎস্য কর্মকর্তা ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তারা কি করছেন? এসব দেখা কি আপনাদের দায়িত্ব না? তাহলে তো আপনাদের মন্ত্রীকে বিষয়টি জানাতে হবে দেখছি। এ বিষয়ে মৎস্য কর্মকর্তা ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চান মন্ত্রী। পরে এ বিষয়ে দ্রম্নত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মন্ত্রী।

এ সময় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যতই নিরাপদ খাদ্যের সেমিনার করি না কেন উপরে মুরগির খামার নিচে মাছের ঘের হলে এসব সেমিনার কাজে আসবে না। এতে করে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। জেনে শুনে আমরা বিষপান করছি। এ অবৈধ ব্যবসা চলতে দেওয়া যায় না। দ্রম্নত জেলা প্রশাসক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এসব খামার বন্ধ করে দেবেন।

এ বিষয়ে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে আমরা মাছের ঘেরের মালিকদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদেরকে মুরগির খামারের নিচে মাছের ঘের বানাতে নিষেধ করেছি। খুব দ্রম্নতই আমরা এসব খামারিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করব। এসব খামার বন্ধ করে দেব।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আব্দুল কাইউম সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক এসএম কায়ছার আলী, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাখাওয়াত হোসেন, জেলা পুলিশ সুপার শহীদুল ইসলাম, জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার মাসুম ইফতেখার প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে