রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

দুই জেলায় গৃহবধূসহ ২ লাশ উদ্ধার

স্বদেশ ডেস্ক
  ০৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
দুই জেলায় গৃহবধূসহ ২ লাশ উদ্ধার

দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে এক যুবক ও শেরপুরের নকলায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে খাইরুল ইসলাম (২৬) নামে এক যুবকের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার পুলিশ ঘটনাস্থল হতে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত খাইরুল ইসলাম উপজেলার তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর তেঁতুলিয়া গ্রামের দবিরপাড়ার ভ্যান চালক বাবলু হোসেনের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যাওয়ার সময় পুকুরপাড়ে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

নিহত খায়রুল ইসলামের মা খতেজা বেগম জানান, 'শুক্রবার আনুমানিক সন্ধ্যায় তার ছেলে উপজেলার ভূষিরবন্দর বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর সে রাতে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।'

চিরিরবন্দর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। তাকে পরকীয়ার জেরে হত্যা করা হতে পারে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ও অধিকতর তদন্ত করে রহস্য উদঘাটন করে দোষী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় আনা হবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।'

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি জানান, শেরপুরের নকলায় এক গৃহবধূরকে মারপিট করে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে। শনিবার উপজেলার উরফা ইউনিয়নের খিচা এলাকায় হামিদুল ইসলামের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে।

নিহত সাজেদা খাতুন (২০) উপজেলার পাঠাকাটা ইউনিয়নের নামাকৈয়াকুড়ি এলাকার সাজু মিয়ার মেয়ে। সাজেদা খাতুনের চার মাস বয়সি এক সন্তান রয়েছে।

নিহতের বাবা সাজু মিয়া বলেন, 'দুই বছর আগে আমার মেয়ে সাজেদা খাতুনকে বিয়ে দিয়েছিলাম হামিদুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে চাপ দিতে থাকে জামাই হামিদুল, শ্বশুর জমির উদ্দিন ও শাশুড়ি রহিমা বেগম। মেয়ের সুখের কথা ভেবে এক লাখ টাকা দেই। পরে তারা আরও ৫০ হাজার টাকা চায়। আমি টাকা না দিলে তারা আমার মেয়েকে বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করত।

শনিবার সকাল ৮টার সময় শুনি আমার মেয়ে মারা গেছে। তারা আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমি উপযুক্ত বিচার চাই।'

এ বিষয়ে নকলা থানা ওসি আব্দুল কাদের মিয়া বলেন, 'গৃহবধূ সাজেদা খাতুনের মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রস্তুত করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ তাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে