বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
অনলাইন প্রতারকসহ তিন জেলায় আরও গ্রেপ্তার ৪

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার ৭

স্বদেশ ডেস্ক
  ১২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যায় গ্রেপ্তার ৭

ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এছাড়াও অনলাইন প্রতারকসহ তিন জেলায় আরও চারজনকে আটক করেছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদের পাঠনো তথ্যে বিস্তারিত খবর-

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানান, ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারদের মধ্যে কার্তিক চন্দ্র ঘোষ, কলেস্নাল কুমার ঘোষ, ফজলে হাসান সবুজ ও মো. নয়ন এজাহারভুক্ত আসামী। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, 'বরুণ ঘোষ হত্যার ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরেই বরুণকে হত্যা করা হয়েছে।

স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা জানান, নেত্রকোনার আটপাড়ায় সংসদ নির্বাচনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার পিন্টুর কর্মী নূরুল আমিন হত্যা ঘটনায় মামলা হয়েছে। বুধবার নিহতের ভাই সোহাগ হাসান বাদী হয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান, যুবলীগ নেতা জুনায়েদ, সাখাওয়াত হোসেন বারীসহ ১১জনের নাম উলেস্নখসহ ৭ থেকে ৮জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সাখাওয়াত হোসেন বারীকে বুধবার রাতেই গ্রেপ্তার করেছে। নিহত নূরুল আমিন আটপাড়া উপজেলার লুনেশ্বর ইউনিয়নের দেওগাঁও গ্রামের কাজিম উদ্দিনের ছেলে।

আটপাড়া থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, 'হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। এরমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার বাকী আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নড়াইল প্রতিনিধি জানান, নড়াইলে অনলাইন প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৯০টি অবৈধ সিম, সিম নিবন্ধনের দুইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং দুইটি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাবসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে এ তথ্য জানান নড়াইলের পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান।

গ্রেপ্তাররা হলো নড়াইলের কালিয়া উপজেলার কলামনখালী গ্রামের মৃত আবু হানিফ শেখের ছেলে সবুজ শেখ এবং খুলনা মাহফুজুর রহমান।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার মাহফুজুর রহমান আগে মোবাইল ফোন কোম্পানীতে চাকরি করতো। অতিরিক্ত লোভের কারনে সেখান থেকে সিম নিবন্ধনের দুইটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং দুইটি বায়োমেট্রিক সিম নিবন্ধন ট্যাবসহ পালিয়ে এসে অবৈধ সিমের ব্যবসা শুরু করেন। এসব সিম প্রতারনা কাজে ব্যবহার করা হতো। অন্য আসামি সবুজ শেখ অনলাইনের মালামাল বিক্রির কথা বলে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতো। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহা. মেহেদী হাসান বলেন, 'অনলাইনে প্রতারণা করে মানুষের টাকা লুটকারীদের যখন ধরা শুরু করেছি এর শেষটাও করবো। এদের মুলহোতাকে খুঁজে বের করার জন্য অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি জানান, বগুড়ার আদমদীঘিতে ডাকাতি প্রস্ততিকালে গ্রামবাসি ধাওয়া করে দেশীয় অস্ত্রসহ বুলবুল আহম্মেদ (৪৫) নামের এক ডাকাত সদস্যকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। বুধবার রাতে উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামে তাকে আটক করা হয়। আটক ডাকাত সদস্য বুলবুল আহম্মেদ বগুড়া জেলার কাহালু উপজেলার দেওগ্রামের আফতাব হোসেনের ছেলে।

পুলিশ উপ-পরিদর্শক ফেরদৌস হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, 'গ্রেপ্তার ডাকাত সদস্যকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অপর সদস্যদের গ্রেপ্তার তৎপরতা চলছে।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে