আজকের যায়যায়দিন

অবশেষে বদলি হলেন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা মো. দুলাল আলম। গত ৫ ফেব্রম্নয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধ. প্রশা.) রূপক রায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

বদলির আদেশে বলা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর বাংলাদেশ, ঢাকার আওতাধীন রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. দুলাল আলমকে সুনামগঞ্জ জেলার বিশম্ভরপুর উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে আগামী ১১ ফেব্রম্নয়ারির মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় একই তারিখ অপরাহ্নে তাৎক্ষণিকভাবে গণ্য হবেন।

প্রায় ৩ বছর আগে শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলম গোদাগাড়ীতে যোগদানের পর থেকেই নিয়োগ বাণিজ্য, শিক্ষকদের হয়রানিমূলক শোকজ দিয়ে অর্থ আদায়, শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত ও উচ্চতর বেতন স্কেলে ফাইল আটকে মোটা অংকের অর্থ আদায়, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের বরাদ্দকৃত টাকা কৌশলে আত্মসাৎ, বই বিতরণের বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ না দেওয়া, বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়া, নিয়মিত অফিসে না আসাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তার এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা প্রতিবাদ করলে দেখে নেওয়ার হুমকি ও শোকজ নোটিশ দিয়ে দামিয়ে রাখার চেষ্টা করতেন।

এসব বিষয় নিয়ে এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। এতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার সরেজমিন তদন্ত করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সাধ. প্রশা.) রূপক রায় বলেন, 'আমাদের ডিডি স্যারের নির্দেশনায় তাকে বদলি করা হয়েছে।'

নীলফামারীতে পাকেনি ধান ঝড়-বৃষ্টির শঙ্কায় কৃষক

রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিনও শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলমের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।