রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

অটোরিকশা চলাচলে পুলিশের বাধা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

পাবনা ও পাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

বাসের শিডিউলের সঙ্গে ক্লাসের সময়ের না মেলার কারণে প্রতিদিন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় আসা অথবা যাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করতে হয়। অটোরিকশাগুলো আসা-যাওয়ার সময়ে হাইওয়ে পুলিশের হয়রানিতে শিক্ষার্থীদের পাবনা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে পায়ে হেটে ক্যাম্পাসে যাতায়াত করতে হচ্ছে। পুলিশের এমন আচরণে চরম হয়রানি ও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা বলে অভিযোগ উঠেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, পাবনা শহরসহ আশপাশ থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এসে সেখান থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যোগে ক্যাম্পাসে যাওয়া ও ক্লাস ধরার জন্য যাওয়ার সময়ে মহাসড়কে দায়িত্বরত হাইওয়ে পুলিশ অটোগুলোর গতিরোধ করে আটকে দিচ্ছে। দিচ্ছে তাদের মামলা। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কিছু অটোরিকশা যাতায়াত করলেও পুলিশ পেট্রালিং ডিউটি দেওয়ার সময়ে রাস্তায় আর কোনো অটোরিকশা চলাচল না করায় মহাভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।

অটোরিকশা চালকরা বলেন, শিক্ষার্থীদের অনুরোধে আমরা ক্যাম্পাসের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করলেও পুলিশি হয়রানিতে মহাবিপাকে পড়েছি। পুলিশ ধরে ধরে অটোরিকশাগুলো তাদের ফাঁড়িতে নিচ্ছে। দিচ্ছে মামলা। অটো চালকদের গুনতে হয় ২ হাজার ৬০০ টাকা।

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ মাহফুজ বলেন, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। শিক্ষার্থীদের ক্লাস শিডিউল আর বাসের শিডিউলের মিল অমিল রয়েছে। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী প্রতিদিন অটোরিকশায় যাতায়াত করে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত বাসের পরবর্তী যাতায়াতের বাহন হলো অটোরিকশা। কিন্তু যাতায়াতের সময় প্রায় দেখা যায় পুলিশ গাড়ি ধরছে। তখন দূর থেকে খবর পেলেই অটোরিকশা চালক তাদের নামিয়ে দেয়। আবার এমনও হয় পুলিশই গাড়ি আটকিয়ে তাদের নামিয়ে দেয়। তারা তাদের ক্লাস-পরীক্ষার কথা বললেও পুলিশ কখনো সদয় হয় না। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের অসুবিধা ও অভিযোগ সম্পর্কে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, এটা তো আইন তাদের হাইওয়ে সড়কে উঠা নিষেধ। আইন সবার জন্য সমান, আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। তারপরও আমি কয়েকদিনের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বসে বিষয়টা শিথিল করার চেষ্টা করব।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর কামাল হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের এই ভোগান্তির বিষয়টি অবগত হওয়ার পরপরই আমি পাবনা জেলা পুলিশ সুপার ও হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (আতাইকুলা)-এর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা ভেবে আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, এখন থেকে টার্মিনাল-বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বহনকারী অটোরিকশাগুলো আর তারা আটকাবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে