রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মনোহরদীতে সরকারের বেঁধে দেওয়া ২৯ পণ্যের প্রভাব বাজারে নেই

মনোহরদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় সরকারের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত ২৯ পণ্যের কেনোটির প্রভাব বাজারে নেই। গত ১৫ মার্চ প্রজ্ঞাপনে সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর মাছ, মাংস, ডিম, ডাল, সবজিসহ ২৯টি পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিলেও পাইকারি বাজারসহ উপজেলার অঞ্চলের কোনো বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যাচ্ছে না।

গত শনিবার উপজেলার মনোহরদী ও চালাক চর পাইকারি বড় বাজার ঘুরে দেখা যায়, সরকারের বেঁধে দেওয়া ২৯টি পণ্যের অধিকাংশ অধিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। হাতিরদিয়া, চালাক চর, সাগরদী, রামপুর, খিদিরপুর, বীরগাঁও, দরগাহ বাজার, চর মান্দালিয়া, বড়চাপা, তারাকান্দি ভূইয়া বাজারসহ অধিকাংশ খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত মূল্য ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত মূল্য ২৬২ টাকা। গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৭২০ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্য ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা। চালাকচর পাইকারি বাজারে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। কিছু দোকানে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও কয়েকটি দোকানে পেঁয়াজ ৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়।

তবে কিছু খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, 'আজ আমরা কম দামে কিনেছি, তাই কম দামে বিক্রি করছি। যাদের বেশি দামে কেনা তারা বেশি দামে বিক্রি করছে। আগামীকাল দাম বাড়তেও পারে, কমতেও পারে। দাম নির্ভর করে মালের আমদানির ওপর।'

সরকার নির্ধারিত দেশি পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কেজি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা। রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্য ১২০ টাকা ৮১ পয়সা। ছোলা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্য ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা। শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ৪৪০ থেকে ৪৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা। মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্য ১০৫ টাকা। খেজুর সর্বনিম্ন প্রতি কেজি ২০০ থেকে ১৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত মূল্য সর্বনিম্ন খুচরা মানের খেজুর ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা আর জায়দি খেজুর ১৮৫ টাকা ০৭ পয়সা।

চালাক চর বাজারের এক খেজুর বিক্রেতা জানান, জায়দি খেজুর প্রতি কেজি আমাদের ২৮০ টাকা দরে কিনতে হয়। তাহলে আমরা সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৮৫ টাকায় কিভাবে বিক্রি করব?

সরকারের নির্ধারিত মূল্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে রামপুর বাজারের কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, কাঁচামাল নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি চলে না। আমদানি বেশি হলে দাম কমে যাবে, আর আমদানি কমে গেলে দাম বেশি হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে