রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

রমজানের কারণে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে শেষ হচ্ছে 'লালন স্মরণোৎসব'

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর ছেঁউড়িয়ার আঁখড়া বাড়িতে রোববার অনুষ্ঠিত হয়েছে বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ্‌ের 'স্মরণোৎসব'।

প্রতি বছর তিন দিনের উৎসব করা হলেও পবিত্র মাহে রমজানের কারণে এ বছর একদিনে (সংক্ষিপ্ত আকারে) শেষ করা হবে ফকির লালন শাহ স্মরণোৎসব। এর ফলে মাজার প্রাঙ্গণে লালন ভক্ত, অনুসারী, সাধু ও বাউলদের আগমন তেমন একটা ঘটেনি। কয়েকজন বাউল এসে আখড়া বাড়ির ভেতরে আসন পেতে বসেন।

লালন একাডেমির আয়োজনে এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় একদিনের লালন স্মরণোৎসব রোববার বিকাল ৩টায় লালন একাডেমি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনের এমপি আবদুর রউফ, কুষ্টিয়া পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সদর উদ্দিন খান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর আলী।

স্মরণোৎসবকে কেন্দ্র করে কালীনদীর পাড়ে বসছেনা গ্রামীণ মেলা। থাকছে না উৎসব মঞ্চ। তারপরও মাজারে আসা সাধু সকল মাহাত্ম্য লালন সাঁইজিকে স্মরণ করেন তাদের নিজস্ব রীতিতে।

লালন শাহের মৃতু্যর পরও ভক্ত-শিষ্যরা বিশেষ এ দিনটি পালন করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। দোল পূর্ণিমা চাঁদের সঙ্গে দেহচাঁদের যে সম্মিলন, যে যোগসূত্র সেটিকে খোঁজার চেষ্টা করেছেন লালন সাঁইজি। সেই যোগসূত্রের সন্ধানে সাঁইজির ধামে শিষ্যরা ছুটে আসেন আত্মশুদ্ধির পথ খুঁজতে। লালন অনুসারীদের মতে দোল উৎসব সাধুসঙ্গে সাধুদের মিলনমেলায় আত্মশুদ্ধির মাধ্যমে মুক্তির পথ খুঁজে পাওয়া যায়। তাদের মতে এ পথই সত্য পথ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে