বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

ছাগলনাইয়ায় প্রতিবন্ধী স্কুলের নামে ভবন ভাড়া নিয়ে দখলের অভিযোগ

ইউএনও'র পরিদর্শন
ফুলগাজী (ফেনী) প্রতিনিধি
  ০৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
ছাগলনাইয়ায় প্রতিবন্ধী স্কুলের নামে ভবন ভাড়া নিয়ে দখলের অভিযোগ

ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগরে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় পরিচালনার জন্য একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে দখল করার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে একের পর এক অভিযোগ দিয়ে বাড়ির মালিককে হয়রানি করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

জানা যায়, পাঠাননগর ইউনিয়নের পাঠাননগর গ্রামের রহিম উলস্নাহ ভুঞা দীর্ঘদিন ফেনী শহরে তার নিজ বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। ২০১৮ সালে তার গ্রামের বাড়িটি একটি প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন করে আত্মমানবতার সেবায় তারই আত্মীয় লোকমান হোসেন ভুঞার কাছে মাসিক চার হাজার টাকায় ভাড়া দেন। এতে ননজুডিশিয়াল স্টাম্পের মাধ্যমে স্কুল পরিচালনার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন লোকমান। তবে চুক্তি মোতাবেক ওই বাড়িতে স্কুল পরিচালনা করে আসছেন রহিম উলস্না ভুঞার আত্মীয় লোকমান হোসেন ভুঞা। কিন্তু কয়েক বছর গেলে বাড়ির মালিক ভাড়ার জন্য তাগাদা দিলে লোকমান ভুঞা অস্বীকার করে নিজেই বাড়ির মালিক দাবি করেন। শুধু তাই নয়, বাড়ির মালিকে হয়রানি করতে তিনি নিজেই বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আসছেন।

অভিযোগকারী রহিম উলস্নাহ বলেন, 'আমরা গ্রামে তেমন থাকি না। আমাদের বাড়িতে স্কুল চলছে। ভাড়ার টাকা থেকে বাড়ির একটি অংশ মাটি দিয়ে কিছু টাকা সমন্বয় করেছে লোকমান ভূঞা। পরে আমি লোকমান ভূঞার কাছে ভাড়ার টাকা চাইলে সে ওই বাড়ির মালিকানা দাবি করে। বর্তমানে আমি তার কাছে বাড়ি ভাড়া বাবত আড়াই লাখ টাকা পাই। কিন্তু সে টাকা না দিয়ে আমার বাড়ি খাস জায়গা রয়েছে দাবি করে সরকারে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়ে আসছে।' স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল মনসুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, 'স্কুলের জায়গা নিয়ে লোকমান ভূঞা ও রহিম উলিস্নাহ ভূঞার বিরোধ চলছে। লোকমান তার আত্নীয় রহিম উলস্নাহ ভূঞার কাছ থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে একটি প্রতিবন্ধী স্কুল করেছেন বলে এলাকার সবাই জানেন। তাদের মধ্যে কি চুক্তি নামা হয়েছে সেটা আমরা অবহিত নই। ভাড়ার টাকা পরিশোধ না করায় বিতর্কের জের ধরে স্কুলটি বন্ধ রয়েছে।'

অভিযুক্ত লোকমান হোসেন ভূঞা বলেন, 'আমরা সরকারী খাস জায়গায় রহিম উলস্নাহ ভূঞার সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী স্কুল স্থাপন করেছি। রহিম উলস্নাহ জায়গাটি নিজের নামে গোপনে রেকর্ড করে চলিস্নশ বছর পর হঠাৎ স্কুলের আসবাবপত্র ভেঙ্গে মালিকানা দাবি করেন। তবে বিষয়টি আমি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম কমল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে উভয়কে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রক্ষার জন্য নির্দেশ দেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে