বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১

পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে বাড়তি যাত্রী চাপে বেড়েছে ভোগান্তি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
  ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে বাড়তি যাত্রী চাপে বেড়েছে ভোগান্তি

ঈদুল ফিতর এবং পহেলা বৈশাখের টানা ছুটি শেষে পরিবার পরিজন নিয়ে আবারও জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকায় ফিরছে মানুষ। তবে বছরের অন্য সময়ের থেকে ঢাকামুখী বাসগুলোতে অধিক ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদের। পাশপাশি বাস ভ্রমণে নানামুখী বিড়ম্বনার মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে জানান যাত্রীরা। এ কারণে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটে আরও বাস সার্ভিস বৃদ্ধি করার পাশাপাশি সরকারের নজরদারী প্রত্যাশা করছেন স্থানীয়রা।

পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ এক সময় লঞ্চে চলাচল করলেও পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ঢাকা-পটুয়াখালী রুটে মানুষের চলাচলের প্রধান মাধ্যম এখন সড়ক পথ। বছরের অন্য সময় এই রুটে বিভিন্ন বাস কোম্পানী দৈনিক দুইশ' থেকে আড়াইশ' বাস চলাচল করলেও বর্তমানে তিনশ'র বেশি চলাচল করছে। তবে এরপরও যাত্রীদের চাপ সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আর এই সুযোগে অধিকাংশ বাসের ভাড়াই বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

মঙ্গলবার সকালে পটুয়াখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক বাস আসছে এবং যাত্রী নিয়ে ঢাকা অভিমুখে ছুটে যাচ্ছে। ঠিক যেন কারো দম ফেলার সময় নেই। তবে অধিকাংশ বাসের টিকিট আগেই বিক্রি করা হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কাউন্টার ইনচার্জরা। এ কারণে এদিন অনেক যাত্রীকে বাসস্ট্যান্ডে এসে টিকিট না পেয়ে আবার ফিরে যেতে দেখা গেছে।

তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আগে নন এসি বাসে যে ভাড়া ছিলো সাড়ে ৬শ' থেকে ৭শ' টাকা বর্তমানে তা নেওয়া হচ্ছে ৯শ' থেকে এক হাজার টাকা। আর এসি বাসগুলোতে এক হাজার টাকার ভাড়া ব্যক্তি ভেদে নেওয়া হচ্ছে ১৫শ' থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

পটুয়াখালী শহরের সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা আলম হোসেন জানান, তিনি ১২ তারিখে টিকিট কেটেছেন। মঙ্গলবার সাড়ে ১২ টায় তার বাস। তবে আগে সাড়ে ৬শ' টাকায় যাতায়াত করলেও ঈদের কারণে এখন তার কাছ থেকে ৮শ' টাকা রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সহ-সভাপতি গোলাম মাওলা দুলু মৃধা জানান, মালিক সমিতির পক্ষ থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। কোন যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার কিংবা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে এমন অভিযোগ পেলে মালিক সমিতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

এদিকে বাস কোম্পানীগুলো যাত্রীদের সেবার কথা বললেও প্রকৃত পক্ষে কাঙ্ক্ষিত মানের সেবা থেকে যাত্রীরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এরপরও বাড়তি ভাড়া আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরছেন সংশ্লিষ্ট বাস কোম্পানীর প্রতিনিধিরা। তবে মাঝে মধ্যে বাসস্টান্ডগুলোতে পুলিশ কিংবা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকির সময় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বাস্তবে বাসস্টান্ডে যাত্রী ভোগান্তি ও হয়রানির চিত্রই ফুটে ওঠে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে