শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

তীব্র দাবদাহে গুরুদাসপুরে তরমুজ-বাঙ্গি বিক্রির ধুম

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
তীব্র দাবদাহে গুরুদাসপুরে তরমুজ-বাঙ্গি বিক্রির ধুম

প্রখর রৌদ্রের এই গরমে গুরুদাসপুরে তরমুজ-বাঙ্গি ক্রয় করতে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের ভিড় দেখা গেছে। এমনকি উপজেলার নয়াবাজার বিশ্ব রোডের ধার দিয়ে তরমুজ-বাঙ্গি নিয়ে বসে আছেন চাষিরা। সেখানে দূর-দূরান্ত থেকে যাতায়াত করা বিভিন্ন যাত্রী গাড়ি থামিয়ে ক্রয় করছেন তরমুজ-বাঙ্গি। দাম একটু চড়া হলেও গরমে তরমুজ-বাঙ্গি খেলে শান্তি- এই ভেবেই যেন ক্রেতারা ছুটছেন চাষি অথবা ব্যবসায়ীদের কাছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার নয়াবাজার বিশ্ব রোডের ধার ঘেঁষে বসে আছে একাধিক তরমুজ-বাঙ্গি চাষি। সেখানে যাতায়াতরত বিভিন্ন প্রাইভেট কার, ট্রাক, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের পথচারীরা রোডের ধারে তরমুজ-বাঙ্গি নিয়ে বসে থাকা চাষিদের কাছ থেকে ক্রয় করছেন। কেউ বা আবার গরমে স্বস্তির জন্য সেখানেই খাচ্ছেন, আবার বাড়ির জন্যও নিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি তরমুজ বিক্রেতারা বিক্রি করছেন ৭০, ১০০, ১৫০ টাকা এবং বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৫০, ৬০, ৭০ টাকা।

তরমুজ-বাঙ্গি চাষ করা চাষি রুহুল আমীন জানান, 'প্রতিবছরই আমরা বিশ্ব রোডের ধারে বসে তরমুজ-বাঙ্গি বিক্রি করি। তাছাড়া আমাদের এলাকার তরমুজ-বাঙ্গি বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ক্রয় করে নিয়ে যান। এখানে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ এসে আমাদের কাছ থেকে তরমুজ-বাঙ্গি ক্রয় করে নিয়ে যান। কেউ বা আবার আসেন খাবার জন্য। কারণ বাজারে চড়া দামে পেলেও আমাদের কাছে তারা একটু অল্প দামে ক্রয় করতে পারেন। তার পরও সদ্য জমি থেকে উঠানো তরমুজ-বাঙ্গি আমরা বিক্রি করি।'

ঢাকা থেকে আসা যাত্রী আয়নাল হক বলেন, 'রাজশাহী থেকে ঢাকা যাচ্ছিলাম। প্রচন্ড গরম লাগছিল গাড়ির ভেতর। তারপর আবার তাপমাত্রাও অনেক বেশি। হঠাৎ তরমুজ দেখে গাড়ি থামালাম। ভাবলাম এই গরমে চাষিদের জমি থেকে সদ্য উঠানো একটি তরমুজ খেলে শরীরটা আরো ভালো লাগবে। তাই নেমে একটি তরমুজ আমরা খেলাম এবং বাড়ির জন্য কয়েকটি নিয়ে যাচ্ছি।'

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা হারুন-অর-রশিদ জানান, এ বছর গুরুদাসপুর উপজেলায় ৭১৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ৯৩০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গি চাষ হয়েছে। চাষিরা ভালো ফলন পেয়েছেন এবং দামও অনেক ভালো পাচ্ছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে