মৌলভীবাজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ছড়াছড়িতে বেকায়দায় পড়েছেন বৈধ বালু মহালদাররা। ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসক বরাবর অবৈধ বালু খেকোদের বিরুদ্ধে গত ৫ মে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বালু মহালের মনু নদী আংশিকের বৈধ ৫ ইজারাদার।
ইজারাদার মনাই মিয়া, কয়েছ আহমদ, খছরু মিয়া, আব্দুর রহমান, জাহেদুল করিম মনু ও আখতার হোসেন অভিযোগ পত্রে জানান, মৌলভীবাজার সদর ও রাজনগর উপজেলার অন্তর্গত মনু নদে তারা বৈধ ইজারাদার হিসেবে বিদ্যমান রয়েছেন।
এমনকি তারা নদের কয়েকটি জায়গায় বালু উত্তোলন করে সুবিধাজনক স্থানে স্তূপ করে রাখেন। অভিযোগ সূত্রে তারা আরও জানান, 'সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদীর শেরপুর এলাকায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে রাতের আঁধারে ওই এলাকার রাসেল মিয়া, ইমরান মিয়া, উৎপল বাবুরা শেরপুরের অক্সিঘাট, মাছেরবাজার, শেরপুর সেতুর নিচে ও নতুন বস্তি এলাকায় বালু স্তূপ করে রেখে বিক্রি করছেন। তারা ইজারাবিহীন বালু বিক্রি করাতে আমরা ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। এসব ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে অনুমোদনহীন ও অবৈধভাবে উত্তোলিত বালু জব্ধ ও এর সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
এদিকে বৃহস্পতিবার সরেজমিন সদর উপজেলার কুশিয়ারা নদী পাড়ের শেরপুরে গেলে দেখা যায়, শেরপুর সেতুর পাশের মৌলভীবাজার ও সিলেট অংশে ড্রেজার মেশিন ও বালু তোলার অসংখ্য নৌকা রয়েছে। নদীর কিনারায় বালু উত্তোলনের একটি লম্বা পাইপও পাওয়া যায়। উপরে উলিস্নখিত অনেক জায়গায় বালুর স্তূপ দেখতে পাওয়া যায়। ওই স্তূপ থেকে দূরপালস্নার ট্রাকে করে অন্যত্র বালু নিতেও দেখা যায়। জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালু ব্যবসায়ীদের এক সহযোগী বলেন এসব বালু গত বছরের স্তূপ করে রাখা।
স্থানীয় সাধুহাটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান বলেন, শেরপুরে এখন কোনো বালু মহালদার নেই। নদী থেকে এখন কোনো বালু উত্তোলন হয় না। নদী পাড়ে যে বালুর স্তূপ রয়েছে এগুলো গত বছরের।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল হক বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।