পলস্নী বিদু্যৎ সমিতিগুলোতে বেতন বৈষম্য, মানহীন ও নিম্নমানের মালামাল সরবরাহের কারণে ভঙ্গুর বিতরণ ব্যবস্থা নিরসনসহ অভিন্ন চাকরিবিধি ও চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন করছে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সারাদেশের ৮০টি পলস্নী বিদু্যৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারী একযোগে এ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি পালন করছে বলে জানান আন্দোলনরতরা। প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত খবর-
পাবনা প্রতিনিধি জানান, পাবনায় জরুরি গ্রাহক সেবা ও বিদু্যৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখে গত সোমবার থেকে এ কর্মসূচি করছে পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-১।
সমিতির প্রধান কার্যালয়সহ ৩টি জোনাল অফিস ও একটি সাব-জোনাল অফিস, এরিয়া অফিস ও অভিযোগকেন্দ্রসহ ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ কর্মবিরতিতে যোগ দেন। তারা ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চাটমোহরে অবস্থিত পাবনা পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-১-এর প্রধান কার্যালয়ের সামনে এ কর্মসূচিতে সমিতির বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এজিএম (এইচ আর) কুদরত-ই ইলাহী, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মো. হাসানুজ্জামান, লাইন টেকনিশিয়ান আক্তার উদ্দিন, লাইনম্যান সাজেদুর রহমান, মিটার রিডার কাম ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, লাইন টেকনিশিয়ান তারাজুল ইসলাম, লাইন শ্রমিক রাসেল আহমেদ, লাইন টেকনিশিয়ান মহিউদ্দিন প্রমুখ।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ভালুকায় বিদু্যৎ ব্যবস্থ্যা সচল রেখে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মবিরতির তৃতীয় দিন চলছে। বুধবার ময়মনসিংহ পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-২-এর কার্যালয় চত্বরে সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা কাজে যোগদান না করে বিভিন্ন দাবি সংবলিত ব্যানার ফ্যাস্টুন নিয়ে ও বিভিন্ন স্স্নোগান দিয়ে এক সমাবেশে মিলিত হয়। বক্তব্য রাখেন সদরদপ্তরসহ বিভিন্ন জোনাল অফিসের এজিএম, ডিজিএমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মাধবদী (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর মাধবদীতে কর্মবিরতির কারণে সমিতির গ্রাহক সেবায় ভোগান্তি চরমে। কর্মবিরতির ফলে বিদু্যৎ বিল ও জরুরি সার্ভিস ছাড়া সব কাজ বন্ধ রয়েছে। ফলে কোনো সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সমিতির গ্রাহকরা।
আন্দোলনকারীদের পক্ষে নরসিংদী পলস্নী বিদু্যৎ সমিতি-১-এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (টেকনিক্যাল) আব্দুলস্নাহ আল হাদীসহ অনেকেই জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ও বিদু্যৎ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে পলস্নী বিদু্যতায়ন বোর্ড পলস্নী বিদু্যৎ সমিতিসমূহে শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ, গুণগত মানহীন মালামাল ক্রয় করে গ্রাহক ভোগান্তি বন্ধ করতে হবে।