খুলনার পাইকগাছায় নাসির উদ্দিন (৮০) নামের এক বৃদ্ধ হতদরিদ্র, সহায়-সম্বল হারিয়ে রোদ-বৃষ্টি এবং ঝড়ের মধ্যে রাস্তার ধারে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। নাসির উদ্দিনের বাড়ি উপজেলার ঘোষাল গ্রামে। তার পিতার নাম সরূপ সরদার। সরূপ সরদারের দুই ছেলে নাসির উদ্দিন ও সমির উদ্দিন। ভাই সমির উদ্দীন বিয়ে করলেও চিরকুমার থেকে যান নাসির উদ্দীন।

জানা যায়, সমির উদ্দিনের রয়েছে তিন সন্তান। সে সুবাদে ভাইপো ফারুক উদ্দিন সরদার তার চাচা নাসির উদ্দিনের ভাগের ৫ শতক জমি শরিক হিসেবে পার্শ্ববর্তী নুরুজ্জামান সরদার ও ইমদাদুল সরদারের কাছে বিক্রি করে দেয়। পরে খরিদ সূত্রে ওই জমির ক্রেতা নুরুজ্জামানকে দখল দেননি আরেক ক্রেতা ইমদাদুল সরদার। ইমদাদুল সরদার হতদরিদ্র নাসির উদ্দিনের বসতভিটা ভেঙে দখল করে নেন। এখন সেই হতদরিদ্র এবং সহায়-সম্বলহীন ব্যক্তির জন্য জীবনযাপন খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি প্রচন্ড তাপদাহ, বৃষ্টি এবং ঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যেও রাস্তায় মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। দিনরাত প্রচন্ড চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে জীবনযাপন করতে হচ্ছে তাকে। তার নেই নিরাপদ আশ্রয়, নেই পর্যাপ্ত খাবার এবং স্বাস্থ্যসেবা। রাস্তার পাশে শুয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ও এলাকার কিছু মানুষ কোনোরকম খাবার দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন তাকে।

মানবতার অগ্রগতির জন্য তাকে সহায়তা করা অত্যন্ত জরুরি। ব্যক্তিগত উদ্যোগ, সামাজিক সংগঠন বা সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষটিকে পুনর্বাসন, খাদ্য সরবরাহ এবং চিকিৎসাসেবা প্রদান করা যেতে পারে। পাশাপাশি তার ভিটে মাটি উদ্ধারে এলাকাবাসী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। মানবিকতার দৃষ্টিতে ওই সাহায্য তার জীবনযাপনকে কিছুটা হলেও সহজতর হতে পারে বলে দাবি করেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে ক্রেতা ইমদাদুল সরদার জানান, 'আমি জমি কিনে ভোগ দখলে আছি। আমার কাছে জমি বিক্রি করেছে। আমি তো জমি নেব।'

সেচ সংকটে তাহিরপুরের ২৩ হাওড়ের ইরি বোরো ফসল