রাজশাহীতে সাবেক এক যুবলীগ নেতার দুটি দোকানঘর দখল করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কার্যালয় করা হয়েছে। সম্প্রতি দখল করা দোকান ঘরে লাগানো সাইন বোর্ডে বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের আঞ্চলিক কার্যালয় উলেস্নখ করা হয়েছে।
ওই যুবলীগ নেতার নাম তৌহিদুল হক সুমন। তিনি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। নগরের শিরোইল কলোনিতে তার বাড়ি। সুমনের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক মঞ্জু ১৯ নম্বর ওয়ার্ড (দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের সভাপতি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর সুমনের নামে বেশকিছু মামলা হয়েছে বিভিন্ন থানায়। তিনি এখন আত্মগোপনে। গত ৫ আগস্ট তার বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করা আত্মগোপনে থাকা তৌহিদুল হক সুমন সাংবাদিকদের জানান, শিরোইল কলোনি এলাকায় চারবছর আগে তার স্ত্রী রুমা খাতুন ও বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হক মঞ্জুর নামে রেলওয়ের একটি জায়গা ইজারা নেন। ওই জায়গায় দুটি দোকানঘর ছিল এবং সেটি ভাড়া দেওয়া হয়। গত ১৬ ডিসেম্বর নুরুজ্জামান টিটু নামের একজন যুবদল নেতার লোকজন ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে দখলে নিয়েছে। অথচ আগামী বছরের জুন পর্যন্ত রেলওয়েকে ইজারামূল্য পরিশোধ করা আছে।
নুরুজ্জামান টিটু ১৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। তিনি মহানগর যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ২০১৮ ও ২০২৩ সালের সিটি নির্বাচনে তৌহিদুল হক সুমনের কাছে পরাজিত হয়েছেন। ২০২৩ সালের সি নির্বাচনে অংশ নিয়ে যুবদল থেকে বহিস্কার হন টিটু।
তৌহিদুল হক সুমন আরও বলেন, 'গত ৫ আগস্ট শিরোইল কলোনিতে আমার বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। সাবেক কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টিটুর নির্দেশে তার লোকজন এসব করেছেন। এবার আমার দুইটি ঘরও তারা দখল করে নিয়ে দলীয় কার্যালয় বানিয়েছে।'
নুরুজ্জামান টিটু বলেন, 'কারা সুমনের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট করেছে সেটা সিসি ক্যামেরায় দেখে নেবেন। আমি গেলে তো আমাকে দেখা যাবে। আর দোকানঘর দখল কারা করেছে সেটা সরেজমিনে গেলেই দেখা যাবে। আমি জানি না।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি দলের কোন দায়িত্বে নেই, পদেও নেই। ভোট করার জন্যই দল আমাকে বহিষ্কার করে। আমি কেন এসব করতে যাব? আর আমি নিজে অসুস্থ মানুষ, ক্যানসারের রোগী। এসব আমি পছন্দ করি না।'
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মামুনুর রশিদ মামুন বলেন, 'বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এ ধরণের ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে দলীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'