ফরিদপুরের সালথায় পূর্ব শত্রম্নতার জেরধরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের মাঝারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষচলাকালে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গ্রাম্য দলাদলি ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রায় দুই যুগ ধরে মাঝারদিয়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাহিদুজ্জামান সাহিদের সঙ্গে আরেক সহসভাপতি ও সাবেক তিনবারের ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হামিদের বিরোধ চলছে। এ বিরোধের জেরে মাঝে মাঝেই সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। বয়সের ভারে সংঘর্ষ ও মামলা থেকে রক্ষা পেতে একপর্যায় পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হন হামিদ চেয়ারম্যান।
তবে মঙ্গলবার বিকেলে পেঁয়াজের জমি দেখতে বাড়িতে আসেন তিনি। খবর পেয়ে সাহিদের সমর্থকরা হামিদের বাড়িতে গিয়ে তার ওপর হামলা করে। বিষয়টি জানাজানি হলে এর প্রতিবাদ করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হারুন মাতুব্বরের সমর্থকরা। পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে ৫-৬ টি বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে হামিদ চেয়ারম্যানসহ উভয় দলের অন্তত ১৫ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে উভয় পক্ষের অন্তত ১১ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার সকালে সালথা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আমিসহ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ওই এলাকার পরিবেশ শান্ত রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।