বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট পতন ঘটে ১৭ বছরের দখল দারিত্বের অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। পরিবর্তনের ছোঁয়ায় বদলে যায় শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরশহরের প্রতিটি দেয়ালের রূপ। প্রতিবাদের চিত্রগুলো গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়ালে ফুটিয়ে তুলেন বিপস্নবী শিক্ষার্থীরা। এতে গ্রাফিতির মাধ্যমে দেয়া হয় প্রতিবাদ, দেশপ্রেম, সাম্য, সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ববোধের বহু বার্তা। আওয়ামী লীগ ও হাসিনা বিরোধী ছবি, গ্রাফিতি অঙ্কন করে ছাত্র-জনতা।

কিন্তু ২৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে দেখা মিলল ভিন্ন চিত্র। গ্রাফিতির উপর সদ্য জাতীয় স্কোগান থেকে বাদ দেওয়া 'জয় বাংলা' লেখা হচ্ছে গ্রাফিতির উপর। রয়েছে 'জয় বঙ্গবন্ধু' স্স্নোগানও। এ দিকে ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যনে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।

নালিতাবাড়ী পৌরশহরের থানা সংলগ্ন দেয়ালগুলোতে গত সোমবার রাতের কোন এক সময় এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা গ্রাফিতি নষ্ট করে দিয়েছে এমন প্রশ্ন জনমনে। গ্রাফিতির উপর 'জয় বাংলা' ও 'জয় বঙ্গবন্ধু' স্স্নোগান দেখে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। তাদের ধারণা, জুলাই বিপস্নবকে ধারণ করে না বা মানতে পারে না এমন কোন অপশক্তিই এসব করেছে।

গ্রাফিতি অংকনে মুখ্য ভূমিকা পালনকারী শিক্ষার্থী আব্দুলস্নাহ আল আমিন বলেন, রাতের আঁধারে কোন অপশক্তি গ্রাফিতিগুলো নষ্ট করে দিয়েছে। গ্রাফিতির উপর 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' স্স্নোগান লেখা হয়েছে। জয় বাংলা স্স্নোগান হাইকোর্ট নিষিদ্ধ বা স্থগিত করেছেন, এটা তো আমাদের বিষয় নয়। তারা কেন আমাদের গ্রাফিতি নষ্ট করল।

শিক্ষার্থী রুহুল সিদ্দিকী রোমান এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, আমরাও হয়তো একটি মামলা করতে পারি। তবে আমরা চাইবো সরকারিভাবেই যেনো একটা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। স্থানীয় হাসান তৌফিক তূর্য বলেন, তারা গ্রাফিতির উপর 'জয় বাংলা' না লিখে অন্য কোথাও লিখতে পারত। তারা কেন আমাদের চেতনার উপর আঘাত করেছে। যারা এই কাজ করেছে তারা জুলাই বিপস্নবের চেতনা ধারণ করে না, এটা তারই প্রমাণ।

জানতে চাইলে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ছানোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনাটি আপনার মাধ্যমে জানলাম। এ ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।