বদলীজনিত কারণে প্রায় দেড় বছর আগে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে যোগদান করেন মাসুদ রানা। অফিস সহায়ক পদে যোগদান করলেও কর্তৃপক্ষকে তোয়াক্কা না করে কারণে-অকারণে কর্মস্থলে থাকতেন অনুপস্থিত। চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মাত্র ৪ দিন অফিসে আসেন। তারপর থেকে লাপাত্তা রয়েছেন তিনি। হাসপাতালের হিসাব রক্ষক শামসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিয়মিত অনুপস্থিত থাকায় তাকে মাসিক বেতন দেওয়া হয়নি।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে, পূর্বের কর্মস্থল গাইবান্ধা থেকে ২০২৩ সালের জুলাই মাসে চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে অফিস সহায়ক'র (এমএলএস) পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন সময়ে কারনে-অকারনে বিনা ছুটিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতেন। গত অক্টোবর মাসে ১০দিনের বেশি ছুটি কিংবা অনুমতি ছাড়াই অফিসে অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর নভেম্বর মাসের প্রথমে ৪দিন অফিস করার পর থেকে তিনি আর অফিসে আসেননি। প্রায় দুই মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় কর্তৃপক্ষ তাকে ৩দফা কারন দর্শানোর নোটিশ দিলেও তিনি কোনো জবাব দেননি।
এরই মধ্যে বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে অফিস সহায়ক মাসুদ রানার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
চিলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.আমিনুল ইসলাম জানান, 'অফিস সহায়ক মাসুদ রানা কর্মস্থলে উপস্থিত না থাকার বিষয়ে তাকে তিনবার কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েও তার কোন জবাব পাইনি। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।'