সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেলে কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা

স্বদেশ ডেস্ক
  ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী ও ফরিদপুর মেডিকেলে কর্মবিরতিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি -যাযাদি

চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচার ও ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, কালোব্যাজ ধারন ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধির পাঠানো বিস্তারিত খবর-

রাজশাহী অফিস জানিয়েছে, ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও কর্মবিরতি পালন করছেন। সোমবার সকাল থেকে তারা কর্মবিরতি শুরু করেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে তারা দায়িত্ব পালন করছেন। সমস্যা হচ্ছে না।

1

পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রাইভেট ট্রেইনি চিকিৎসকদের ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই রাজধানী ঢাকায় নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এর সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে সোমবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ডাক দেয় রামেক হাসপাতাল ইন্টার্ন ডক্টরস ফোরাম। সোমবার সকালে তারা হাসপাতালের সামনে সমাবেশও করেছেন।

সেখানে ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. আব্দুলস্নাহ, ডা. অনন্যা রহমান, ডা. মাহমুদুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। তারা বলেন, দিনরাত তারা পরিশ্রম করেন হাসপাতালে। কিন্তু যে ভাতা পান, তা যৌক্তিক নয়। তাই তারা ভাতা বাড়ানোর দাবি করছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু করেছেন।

রামেক হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ও মুখপাত্র শংকর কে বিশ্বাস বলেন, 'হাসপাতালে প্রায় ২০৮ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক আছেন। রোগী ম্যানেজ করতে তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তারা কর্মবিরতিতে থাকলে সমস্যা হবেই।'

রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএফএম শামীম আহম্মদ বলেন, 'এখন শিথিলতার সঙ্গেই কর্মবিরতি চলছে। আমরাও তাদের সঙ্গে আলাপ করছি। তাদের দাবির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তো ঢাকায় একটা হবেই; এখানে যেন তারা দায়িত্ব পালন করেন সেই চেষ্টাই করছি।'

ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এক চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনায় বিচারের দাবিতে কর্মবিরতি, কালো ব্যাজ ধারণ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন চিকিৎসকরা। সোমবার হাসপাতাল চত্ত্বরে জেলা বিএমএ শাখা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ শিক্ষক সমিতির আয়োজনে প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এ সময় প্রকৃত অপরাধীদের দ্রম্নত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার হামলার শিকার হন হাসপাতালটির চিকিৎসক ও মেডিকেল কলেজের অর্থোপেডিক্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শাহীন আক্তার জোদ্দার। কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের ট্রমা বিভাগ থেকে সিঁড়ি দিয়ে নিচের নামার সময় মোত্তাকিন (২০) নামে এক ইন্টার্ন নার্স তাকে ধাক্কা দেয়। এ ঘটনার জেরে আধাঘন্টা পরেই বহিরাগতদের নিয়ে চিকিৎসকের ওপর হামলা চালায় মোত্তাকিন।

এ ঘটনায় মামলা হলে মূল অভিযুক্তের বাবা ও মাসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার না হওয়ায় এ কর্মসূচি পালন করেন।

এতে বক্তব্য রাখেন হাসপাতালটির পরিচালক হুমায়ন কবির, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. দিলরুবা জেবা, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মোর্শেদ (ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ), সিনিয়র কনসালটেন্ট (কার্ডিওলজি) মো. ফারুক আহমেদ, ডা. সানিয়াত জামান (বার্ণ ও পস্নাস্টিক সার্জারি) প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে