২০২৪ এর বছর জুড়ে আলোচিত ছাত্র আন্দোলনের ১৭টি মামলা। মৌলভীবাজারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ওই মামলা করে। মামলায় এজহারভুক্ত ও অজ্ঞাতসহ মোট আসামি করা হয়েছে ২ হাজার ৬শ' জনকে। সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায়। এ থানায় মোট মামলা হয়েছে ১৩টি। মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ২ হাজার ১৪৮ জন। এ থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ১৮৫ জনকে।
অন্যান্য ৬টি থানার মধ্যে বড়লেখায় আবুল হাসান নামের এক শিক্ষার্থীর করা ১ মামলায় এজহারভুক্ত ৪৬ জনসহ আসামি ১২৬ জন। এ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ১০ জন। জেলার কুলাউড়া থানায় পৃথক দুটি মামলায় এজহারভুক্ত ১০২সহ আসামি করা হয়েছে ১৬২ জনকে। এ থানা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৫৫ জনকে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আফসার।
এ দিকে জুড়ী উপজেলায় ১ মামলায় ৬৪ জনের নামোল্যেখসহ আসামি করা হয়েছে ১৬৪ জনকে। আটক করা হয়েছে মাত্র ১২ জনকে। জেলার কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও রাজনগর উপজেলায় এ ইসু্যতে মামলা হয়নি। সব মিলিয়ে পুরো জেলা থেকে আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে মোট ২৬০জন।
এ দিকে মৌলভীবাজার শহরে ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের উপর হামলাকারী গ্রেপ্তার না হওয়ায় আতঙ্ক ও ভীতের মধ্যে আছেন ছাত্রনেতারা। এক ছাত্র নেতা বলেছেন, পুলিশ ইচ্ছে করেই আ'লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে না।
এ দিকে গেল ৪ আগস্ট আন্দোলের ছাত্রদের উপর হামলার ঘটনায় মৌলভীবাজার সদর মডেল থানায় করা মামলার বাদী আব্দুল কাদির বলেন, ৪ আগস্ট শহরের চৌমুহনায় ছাত্রদের উপর প্রকাশ্যে চিহ্নিত আ'লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা চালায়। কেউ কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ প্রশাসন আসামিদের সহযোগিতা করছে।
এদিকে সম্প্রতি মৌলভীবাজার সদও মডেল থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এক আসামি সাংবাদিক মামুনুর রশীদ। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি সাপ্তাহিক মুক্তকথা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। মিথ্যা ও ভিত্তিহীন একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। কার প্ররোচনায় তাকে আসামি করা হলো, বুঝে উঠতে পারছেন না। তিনি বলেন, নিরীহ কেউ যেন মামলায় পড়ে না যায়, এটি পুলিশকে দেখতে হবে।
মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি গাজী মো. মাহ্বুবুর রহমান বলেন, 'আমরা এ পর্যন্ত ১৮৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। ভিডিও ফুটেজে ধারণকৃত হামলাকারীরা পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না। মূল আসামিদের ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।'