চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বিধায় জলাবদ্ধতা নিরসনে সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সোমবার নগরের ৪০ নং উত্তর পতেঙ্গা ওয়ার্ডস্থ পূর্ব কাঠগড় আরব আলির দোকান থেকে কন্ট্রোলের মোড় পর্যন্ত গুপ্তখাল পুনর্খননের উদ্বোধনের সময় তিনি এ কথা বলেন।
মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের অনেক সমস্যা আছে, অন্যতম প্রধান সমস্যা হচ্ছে জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতার কারণে বৃষ্টি বেশি হলে মানুষ বের হতে পারে না। জলমগ্ন থাকে শহর। মানুষ খুব অসহায় অবস্থায় থাকে।
মেয়র বলেন, সিডিএ'র প্রকল্প এবং স্স্নুইস গেইট নির্মাণ করার প্রেক্ষিতে গুপ্তখাল ভরাট হয়ে গেছে। এ খাল এখন আমাদের পুনরুদ্ধার করতে হবে। গুপ্তখালের যে সমস্যা আপনারা বলেছেন আমি লিখে নিয়েছি। ক্রমান্বয়ে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে। আমাদের এ খাল খনন কর্মসূচি বিএনপির কর্মসূচি। একসময় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কৃষকের আইলে আইলে, শ্রমিকের বস্তিতে বস্তিতে গেছেন। উৎপাদনমুখী রাজনীতি করেছেন তিনি।
যার কারণে তার সময় গার্মেন্টস সেক্টর, মানব সম্পদ পাশাপাশি কৃষি খাতের বিকাশ ঘটেছে। চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন গুরুত্বপূূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বিধায় জলাবদ্ধতা নিরসণে সবগুলো খাল খনন করে জলপ্রবাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
সিটি মেয়র বলেন, 'পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আন্তর্জাতিক পর্যটনকেন্দ্র নির্মাণের কার্যক্রম আমরা সফট ওপেনিং করে দিয়েছি। এখানে আলোকায়ন করেছি, বনায়ন করেছি, নারীদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা করেছি। পার্কিং ব্যবস্থা করব। রেস্টুরেন্ট কওে দেব। অনেকে বাহিরে থেকে এসে যাতে থাকতে পারে সেজন্য ইকো রিসোর্স এখানে থাকবে।
এখানে একটা আন্তর্জাতিক মানের বিনোদন কেন্দ্র আমরা করব। যাতে করে আমাদের ছেলেরা যারা চাকরি পাচ্ছে না, তাদেরও চাকরির সংস্থান এখানে হবে। একটা সুন্দর পস্ন্যান নিয়ে আমরা এগোচ্ছি।'
সভার পর মেয়র খাল খনন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীদের হাজিরা যাচাই করেন। এ সময় মেয়রের সঙ্গে ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আশিকুল ইসলাম, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম মাহি, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।