সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ একটি জগাখিচুড়ি আইন:টিআইবি

যাযাদি রিপোর্ট
  ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ একটি জগাখিচুড়ি আইন:টিআইবি
প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ একটি জগাখিচুড়ি আইন:টিআইবি

প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪-কে 'একটি জগাখিচুড়ি আইন' বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, কম্পিউটার, সাইবার, ডিজিটাল, ইন্টারনেটসহ একাধিক খাতকে অন্তর্ভুক্ত করে এই আইনকে একটি জগাখিচুড়ি আইনে পরিণত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন ধারায় সাইবার সুরক্ষার নামে আগের সাইবার নিরাপত্তা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যা ছিল সেগুলোরই এক ধরনের পুনরাবৃত্তি হয়েছে।

1

মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংস্থার কার্যালয়ে 'প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪: পর্যালোচনা ও সুপারিশ' নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ইফতেখারুজ্জামান এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ইরশাদুল করিম।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'মতপ্রকাশের স্বাধীনতার মানদন্ডে এটি একটি নিয়ন্ত্রণমূলক ও নজরদারিমূলক আইন হয়েছে। এই পুরো আইনে মানুষের অধিকারভিত্তিক কোনো ধারণা দেওয়া হয়নি। বরং মানুষের অধিকার খর্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। এই আইনে বাকস্বাধীনতা ও সংগঠন করার স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মহাপরিচালকের কার্যালয় বা পুলিশের হাতে যে কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে সেটা আগের সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের অবিকল বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী।'

তিনি বলেন, 'এটা ঝুঁকিপূর্ণ। এই আইনে অনেক শব্দ, শব্দগুচ্ছ ও ধারণা ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু তার কোনো ব্যাখ্যা নেই। এই ব্যাখ্যা না থাকার কারণে এসব শব্দ ও শব্দগুচ্ছকে অপব্যহার করে বা মিসইন্টারপ্রেটেশন করে যার কাছে? ক্ষমতা সে মানুষের অধিকার হরণ করতে পারবে।'

প্রস্তাবিত আইনের ৮, ২৫, ২৬ ও ৩৫ ধারা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'এসব ধারা একেবারে নিবর্তনমূলক। এগুলো তৈরি করা হয়েছিল সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টে।'

তিনি বলেন, 'প্রস্তাবিত আইনের ধারা-৮ এ বলা হয়েছে, ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য সাইবার নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করলে সেগুলো অপসারণ করা যাবে, বা বস্নক করা যাবে। এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে মহাপরিচালকের হাতে। মহাপরিচালকের মাধ্যমে বিটিআরসিকে বস্নক করার অনুরোধ করা যাবে। এগুলো আগের আইনের পুরোপুরি কপি করা হয়েছে। এগুলো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।'

প্রস্তাবিত আইনের ২৬ ধারা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, 'এ ধারায় ধর্মীয় মূল্যবোধ ও অনুভূতির কথা বলা হয়েছে। আমরা এর প্রতিবাদ করবো না কিন্তু ধর্মীয় মূল্যবোধ কী, তার ব্যাখ্যা থাকা প্রয়োজন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে