রোববার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২

ভোরের কাগজ কার্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি

যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ভোরের কাগজ কার্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
ভোরের কাগজ পত্রিকা খুলে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে সংবাদকর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি -ফোকাস বাংলা

দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সংবাদকর্মীদের সব দাবি মেনে নেওয়া ও বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিক, সংবাদকর্মী ও কর্মচারীরা।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এইচআর ভবনের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় পত্রিকাটির সংবাদকর্মীরা দাবি করেন, 'আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনা চাই। ভোরের কাগজের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারী ও প্রকাশনা বন্ধের ষড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় আনা হোক। আমাদের সব দাবি মেনে নেওয়া ও বন্ধ কার্যালয় খুলে দিয়ে প্রকাশনা চালু রাখার দাবি নিয়েই আজ আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। আমরা এখানে মেধা দিয়েছি, শ্রম দিয়েছি, বিনিময়ে আজ এসে কী পেলাম?'

সাংবাদিকরা পত্রিকাটির কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, 'পত্রিকাটির সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন, চিফ অব অ্যাকাউন্টস এ কে সোহাগ, বিজ্ঞাপন ম্যানেজার এস এ রাজ্জাক ও অ্যাডমিন ম্যানেজার সুজন নন্দি মজুমদার যোগসাজশ করে ভোরের কাগজ পত্রিকার প্রধান কার্যালয় বন্ধ করে দেন। তারা পত্রিকা মালিক সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে কোটি কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তারা বিগত সরকার আওয়ামী লীগের দোসর। এখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচু্যত হওয়ায় তারা পত্রিকাটি বন্ধ করার পাঁয়তারা করছে।'

অবস্থান কর্মসূচিতে পত্রিকাটি চিফ রিপোর্ট খন্দকার কাওসারের সঞ্চালনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন। এসময় নেতারা দাবি করেন, যে কোনো মূল্যে যতদ্রম্নত সম্ভব ভোরের কাগজ পত্রিকার অফিস খুলে দিতে হবে এবং পত্রিকার সকল সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের দেনা-পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।'

অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, 'ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষকে বলতে চাই, অন্যায় তো অনেক করেছেন। গত ১৫ বছর ধরে আপনারা যে অন্যায় করছেন। আমরা সেগুলো টেনে আনতে চাই না। জুলাই আন্দোলন বিপস্নবীদের আপনারা সন্ত্রাসী বানানোর চেষ্টা করেছেন। আমরা সেই কথাগুলো ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। আমরা চেয়েছিলাম নতুন বিপস্নবী সরকারের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে আদর্শ গণমাধ্যম হয়ে উঠুন। কিন্তু আপনারা সাংবাদিকদের পাওনা না বুঝিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করতে চাই না। আমরা চাই প্রত্যেকটা গণমাধ্যম থেকে ফ্যাসিবাদের দোসরদের সরিয়ে দিন। সেই কাজটি না করে সাবের হোসেন পত্রিকার প্রায় ১ হাজার সংবাদকর্মীর পাওনাদি না দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।'

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন বলেন, 'এভাবে বিনা নোটিশে একটা পত্রিকা অফিস বন্ধ করা যায় না। আপনারা জানেন দীর্ঘদিন এদেশে একটি ফ্যাসিস্ট সরকার গণমাধ্যমে ওপর নিপীড়ন চালিয়েছে। সেই নিপীড়ন থেকে আমরা মাত্র বেরিয়ে এসেছি। এখন আমাদের কাজের স্বাধীনতা, লেখার এবং বাকস্বাধীনতার সুযোগ এসেছে। ঠিক সেই মুহূর্তে একজন ফ্যাসিস্ট সাবেক হোসেন এভাবে তার পত্রিকাটি বন্ধ করে দিয়েছে। এটা খুবই ন্যাক্করজনক।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে