ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শিশু কন্যাকে হত্যা করলো সৎ মা। অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃতু্য ও সাতক্ষীরায় মাছের ঘের থেকে কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
কোটচাঁদপুর, (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি জানান, সাড়ে ৫ বছর বয়সী মাহমুদা নামের এক শিশু কন্যাকে ঘাস পোড়া ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সৎ মায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার ভোমরা ডাঙ্গা গ্রামে। এ বিষয়ে শিশুটি'র পিতা শাহিন আলম বাদী হয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী হুমাইরা বেগমকে (২২) প্রধান আসামি করে গত শুক্রবার রাতে স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযুক্ত হুমাইরা পলাতক রয়েছেন।
নিহত শিশুর দাদা আবুল কালাম আজাদ জানান, মাহমুদার জন্মের সময় তার মা মারা যায়। শিশুটিকে মায়ের অভাব পূরণের জন্য শাহিনকে হুমাইরার সঙ্গে দ্বিতীয় বিয়ে দেন। গত ১ মার্চ শিশু মাহমুদা তার সৎ মায়ের কাছে সরবত খেতে চেয়েছিল। ওই দিন সন্ধ্যায় সৎ মা মেয়ে মাহমুদাকে আরসি'র সঙ্গে জমির ঘাষ পোড়ানোর ওষুধ মিশিয়ে খেতে দেয়। শিশুটি ওই আরসি কিছুটা খাওয়ার পরপরই ছটফট করতে থাকে। এ সময় সৎ মা হুমাইরা পরিবারের লোকজনের জানায় মেয়ে আরসি ভেবে ঘাস পোড়া ওষুধ খেয়ে ফেলেছে। পরিবারের লোকজন শিশু মাহমুদাকে কোটচাঁদপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। ওই রাতেই শিশু মাহমুদাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন চিকিৎসক। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনদিন থাকার পর চিকিৎসার ব্যায় ভার বহন করতে না পেরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে শিশু মাহমুদাকে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৬দিন মৃতু্যর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে গত ৬মার্চ শিশুটির মৃতু্য হয়।
কোটচাঁদপুর থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর বলেন, শিশু হত্যার অভিযোগ মামলা হয়েছে। মামলা নং-৪,তাং-০৭/০৩/২০২৫। আলামত কিছুটা উদ্ধার হয়েছে। হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে গর্তে জমে থাকা পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃতু্য হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের বিলচতল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুরা হলো- ওই গ্রামের হাফিজার রহমানের মেয়ে তন্নি খাতুন (৮) ও হাফিজার রহমানের ভাগ্নি অনিকা খাতুন (৮)। মৃত দুজন শিশু সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো বোন।
আব্দুল বারিক নামে নিহতদের এক স্বজন বলেন, সকাল ১০টা থেকে শিশু দুটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ির পাশেই বালু উত্তোলনে সৃষ্ট গর্তে জমে থাকা পানি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, সাতক্ষীরার গোপীনাথপুর এলাকার একটি মাছের ঘের থেকে আব্দুর রহমান গাজী নামের এক ঘের কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করছে, বিদ্যুৎস্পর্শে তার মৃতু্য হয়েছে। আব্দুর রহমান গাজী (৪৮) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মৃত বাবর গাজীর ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি শামিনুল হক জানান, আব্দুর রহমান জনৈক অহিদের মৎস্য ঘেরের পাহারাদার ছিলেন। রাতে আব্দুর রহমান ঘেরে যান। সকালে স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে অহিদের ঘেরের পাশে আইউব আলীর ঘেরের ধানক্ষেত হতে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। চোর প্রতিরোধে ধানক্ষেতসহ ঘেরের চারদিকে বিদু্যতের তার জড়িয়ে রাখা হয়েছিল। বিদু্যৎস্পর্শে আব্দুর রহমানের মৃতু্য হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।