আমরা জানি, সৃষ্টিকর্তা অপরিসীম খুশি হলে পৃথিবীতে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাই একথা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, কন্যা সন্তান তথা নারী হচ্ছে বাবা মায়ের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। তাইতো ইমাম খোমেনী (র.) যথার্থই বলেছেন, আলস্নাহর মহান সৃষ্টি নারী সমাজের প্রতি মহানবী (স.)-এর যে অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল, ইতিহাস তার সাক্ষী। তিনি দেখিয়েছেন যে মহিলাদেরও রয়েছে বিশেষ মর্যাদা, সে এমন যে পুরুষদের তুলনায় শ্রেষ্টতর না হলেও অবশ্যই নিকৃষ্টতর নয়। সমাজে একজন নারীই পারেন বহুরূপে কল্যাণসাধন করতে। কারণ জীবনে চলার পথে মা, ভগ্নি, সহধর্মিণী এদের ভূমিকা অনেক, অন্যগুলো শুধু একজন নারীর দ্বারা সম্ভব। একজন নারী একটি পরিবারকে স্বর্গের ন্যায় সুন্দর করতে পারেন।
নারী সহান, নারী শ্রেষ্ট। মা-রূপে একজন নারী সন্তানের কাছে বেহেস্তের সমতুল্য। সন্তান মায়ের কাছে চিরঋণী হয়ে থাকে। কারণ একজন মা সন্তানের জন্য যা করেন তা পৃথিবীতে অন্য কারো দ্বারা সম্ভব নয়। মা হচ্ছেন সন্তানের কাছে সেই মানুষটি, যার নেই কোনো বেতান/নেই কোনো বোনাস/নেই কোনো শর্ত/ নেই কোন স্বার্থ/নেই কোনে আন্দোলন/ নেই কোন অভিযোগ/ নেই কোন চাওয়া, নেই কোনো পাওয়া। শুধুই সারাটি জীবন নিঃস্বার্থভাবে সন্তানের কল্যাণের জন্য খেটে যান। এছাড়াও আমার বিশ্বাস একজন নারী যখন বধূরূপে কোনো এক নতুন পরিবারে যান তখন সে এ কথাটিই ভাবেন যে, 'আমি এ পরিবারে যাচ্ছি নিজে সুখী হতে নয় বরং সবাইকে খুশিও সুখি করতে।' বিশ্ব সংসারে নারী জাতির একটি বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোনো সমাজে পাপ-পূণ্যের বিকাশ অনেকাগুণ নির্ভর করে নারী জাতির ওপর। সবশেষে বিশ্ব নারী দিবসে সব নারীর প্রতি রইল অশেষ শুভকামনা। পৃথিবীটাকে সুন্দর করে গড়ে তুলতে তারা যেন সচেষ্ট থাকেন। নারীরা সুন্দর এ ছাড়াও পৃথিবীর সব সুন্দর যেন সর্বদা তাদের ঘিরেই থাকে।