আজকের যায়যায়দিন

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানিয়েছেন, 'মে মাসের মধ্যে নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন যাচাইয়ের কাজ শেষ করা হবে। আইন ও বিধি অনুযায়ী, যারা পাওয়ার যোগ্য তারা নিবন্ধন পাবে, যারা পাওয়ার যোগ্য নয়, তারা পাবে না। আইনের বাইরে কোনো কিছু বিবেচ্য বিষয় নেই। যাদের কাগজপত্র ঠিক আছে, তাদেরটাই কেবল মাঠপর্যায়ে যাচাই হবে। বাকিগুলো হবে না। কোনো রাজনৈতিক সুপারিশ আসেনি। কোথাও থেকে কোনো সুপারিশ আসবেও না।' রোববার রাজধানীর নির্বাচন ভবনের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান।

মো. আলমগীর বলেন, 'কমিশন আইন দিয়ে পরিচালিত হয়। কারও ভাবনা দিয়ে পরিচালিত হয় না। আইন ও বিধিতে যা কিছু দেওয়া আছে, সে শর্ত যারা শতভাগ পূরণ করতে পারবে, তারা নিবন্ধন পাবে। যারা একটি মাত্র পূরণ করতে পারবে না, তারা পাবে না।'

আলমগীর বলেন, 'নিবন্ধন দেওয়ার প্রক্রিয়া

বিধি অনুযায়ী হবে। আইনে বলা আছে- কোনো মতামত আদর্শ হলে পাবে। স্পষ্ট করেই বলা আছে। আমাদের বলার কিছু নেই। যেমন যদি মনে করেন- ধর্মীয় বা জাতিগত বৈষম্য রাখা হয়, ঘৃণা ছড়ানো হয়, এমন কিছু গঠনতন্ত্রে থাকে- তাদের কমিটি যেগুলো আছে, সেগুলো ঠিকমতো না হলে সংবিধান বিরোধী কিছু থাকলে তারা নিবন্ধন পাবে না। মে মাসের মধ্যে আমরা যাচাইয়ের কাজ শেষ করব। একশ'তে একশ' পেতে হবে। নিরানব্বই পেলে হবে না। আইন এবং বিধির বাইরে কিছুই চলবে না। আমরা আইন এবং বিধি অনুযায়ী দেখব। অন্য কিছু দেখার সুযোগ নেই।'

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

এক প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, 'শর্টলিস্ট করা হয়নি। তাদের কাগজপত্র শর্টেজ ছিল। ১৫ দিন সময় দেওয়া হয়েছিল, যারা দিয়েছেন তাদেরগুলো আমরা দেখব। আর যারা দিতে পারেননি, সেগুলোও আমরা দেখব। তারপর কমিশন দেখবে যাচাই বাছাই করে। যাচাই বাছাই শুরু হয়ে গেছে। জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করব।'

তৃণমূল বিএনপির নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'নাজমুল হুদার দলকে তো দিয়েছি। আমাদের তো আর কিছু করার নেই। উনি মারা গেছেন ওনার দলের যারা আছেন, তারা সিদ্ধান্ত নেবেন পরবর্তী চেয়ারম্যান কে হবেন বা কী হবে। সেটা তাদের দলীয় সিদ্ধান্ত।'