আজকের যায়যায়দিন

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, 'সরকার ডিজিটাল সিকিউরিটি আইন বাতিল করেনি, কেবল নাম বদলেছে। এসবই করা হয়েছে বিদেশিদের চাপে। এটি একটি আইওয়াশ। অথচ আমরা পুরো আইনের বাতিল চেয়েছিলাম।'

মঙ্গলবার প্রেস ক্লাবে গণতন্ত্র মঞ্চ কর্তৃক আয়োজিত কর্তৃত্ববাদী দুঃশাসন-গণজাগরণ-গণঅভু্যত্থানের পথে বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

জোনায়েদ সাকি বলেন, 'একটা ভোট মানে শুধুমাত্র ভোটাধিকার নয়। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের সার্বভৌমের শক্তিটা প্রয়োগ করেন। প্রতিনিধিত্বের ব্যবস্থা যদি না থাকে, তাহলে শাসন জারি থাকবে না, স্বৈরাচারিতা তৈরি হবে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চাইলে ভোটাধিকার থাকতে হবে।

কিন্তু এখন ভোটাধিকার মানে হচ্ছে, ভোটের গ্যারান্টি। সেটা কি বর্তমান সরকার দিচ্ছে? উত্তর হচ্ছে না, জনগণের সার্বভৌমত্বকে নস্যাৎ করা হয়েছে। এর প্রমাণ কিন্তু ১৯৭২-এর পর থেকেই শুরু হয়েছে।'

সংবাদ সম্মেলনে প্রাণিসম্পদমন্ত্রী / কোরবানির জন্য প্রস্তুত ১ কোটি ৩০ লাখ পশু

তিনি বলেন, 'দেশের রাজনীতিতে এখন পরিবর্তনটা অনিবার্য। শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে ক্ষমতা থেকে যেতেই হবে। তারা যত দ্রম্নত এটা বুঝতে পারবে, এটা ততটাই ইতিবাচক পরিণতি নিয়ে আসবে। যে পরিমাণ অর্থ পাচার তারা করেছে, সে সম্পদ তাদের ভোগে আসবে না।'

বিপস্নবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, 'দেশে এখন যে আন্দোলন গড়ে উঠেছে, মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণে গণতন্ত্র মঞ্চ ভূমিকা রেখেছে। দেশে ভোটাধিকার গণতন্ত্রের কুলখানি করেছে আওয়ামী লীগ।'

তিনি বলেন, 'কিছুদিন আগের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, তারা আবার তাকে ক্ষমতায় দেখতে চান। এরা কারা? এরা হচ্ছেন ব্যাংক লুটেরা, টাকা পাচারকারী দুর্বৃত্ত।'

আলোচনা সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না ব?লেন, '১ বি?লিয়ন ডলার সিঙ্গাপু?রে পাচার ক?রে?ছে এস আলম গ্রম্নপ। এত অল্প সম?য় এত টাকা এস আলম গ্রম্ন?পের প?ক্ষে আস?লে কি আয় করা সম্ভব? এ ঘটনা তদন্ত করার জন্য দুই মাস সময় দেওয়া হ?য়ে?ছে। কেন তদন্ত কর?তে দুই মাস দরকার। এই দুই মা?সে কি তাহ?লে কাগজপত্র তৈ?রি করা হ?বে, ওটা পাচার ছিল না বরং বৈধ ছিল। আস?লে এই সরকার লু?টেরা?দের সব?চে?য়ে বড় পৃষ্ঠ?পোষক। এই সরকা?রের টাকা পাচা?রের কা?হি?নী ইউরোপ-আমে?রিকাসহ এখন বি?শ্বের সবাই জা?নে। এত?দিন যে লুটপা?টের বন্যা চলেছে, এখন তা ধীরে ধীরে বে?রি?য়ে আস?ছে।'

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, দেশের রাজনীতিতে স্বতন্ত্র ও বিকল্প শক্তি হিসেবে গণতন্ত্র মঞ্চ দাঁড়াতে চায়। বর্তমানে যে দুঃশাসন চলছে, এটা ১৯৭২ সাল থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত ছিল। আজ যারা কর্তৃত্ববাদী সরকারের দুঃশাসনের সমর্থন করছেন, জনগণের হাত থেকে তারা রেহাই পাবেন না।

তিনি বলেন, দেশ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে, এতে কারা মদত দিচ্ছেন? তাদের শেষবারের মতো অনুরোধ করছি, আপনারা ফিরে আসুন। জনগণের পক্ষে ফিরে আসুন। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হবেই, লড়াই সংগ্রামে আমরা এক থাকবই।