রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

অর্থমন্ত্রী একজন বোবা মানুষ, কথাই বলেন না : সংসদে মুজিবুল হক চুন্নু

যাযাদি ডেস্ক
  ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালকে 'বোবা মানুষ' মন্তব্য করে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, 'আমরা বারবার এই সংসদে অর্থমন্ত্রীকে বলছি, বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হচ্ছে আপনি ব্যবস্থা নেন। কিন্তু বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী একজন বোবা মানুষ, উনি কথাই বলেন না। যে দেশের অর্থমন্ত্রী কথা বলেন না, অর্থনীতি সম্পর্কে পার্লামেন্টে ব্রিফিং করেন না, সাংবাদিকদের কিছু জানান না সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে। সেই দেশ কীভাবে চলবে আমি জানি না।'

সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে বক্তব্যকালে এ মন্তব্য করেন তিনি। স্পিকার ডক্টর শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকাল পৌনে ৫টায় অধিবেশন শুরু হয়।

চুন্নু বলেন, 'আমার প্রশ্ন হলো যার সম্পর্কে অভিযোগ এসেছে এক বিলিয়ন ডলারের, এটি সত্য কি না আমরা জানি না। যদি সত্য হয় তাহলে এটা অবশ্যই আমি মনে করি দেশদ্রোহিতার শামিল। এটা নিয়ে হাইকোর্ট থেকে একটি রিটও করা হয়েছে। সেখানে হাইকোর্ট অ্যান্টি করাপশন ডিপার্টমেন্টকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। সেটি না কি আবার আপিল বিভাগে গিয়ে স্থগিত আছে।'

জাতীয় পার্টির মহাসচিব আরও বলেন, 'পত্রিকায় দেখি টাকা পাচার হচ্ছে। কয়েকদিন আগে ডেইলি স্টারসহ বিভিন্ন পত্রিকায় দেখলাম এ অবস্থার মধ্যে একজন ব্যক্তির নাম এসেছে, যিনি বাংলাদেশের একজন বড় ব্যবসায়ী, কয়েকটি ব্যাংকের মালিক। তার সম্পর্কে এসেছে তিনি অন্য একটি দেশের নাগরিকত্ব নিয়ে সিঙ্গাপুরে মার্কেট করেছেন এবং হোটেল কিনেছেন এক বিলিয়ন ডলার দিয়ে।'

বিরোধী দলের এই সংসদ সদস্য বলেন, একজন কৃষক যে লোন নেন এক লাখ টাকা বা দুই লাখ টাকা, লোন না পরিশোধ করলে তার নামে ওয়ারেন্ট হয়। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী লোন নিয়ে শোধ না করলে ওয়ারেন্ট হয়। একজন কৃষক যদি ঋণ দিতে না পারেন তার সুদটা মাফ চান ব্যাংকে আমরা সুপারিশ করি তারা মাফ করেন না। কিন্তু একটা নাসা গ্রম্নপের ঋণের ২৫২ কোটি টাকা সুদ মাফ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের চারটি রিজন আছে সুদ মওকুফ করার। এই চারটি রিজনের কোনোটির মধ্যেই এটি পড়ে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের অবজারভার আপত্তি দিয়েছেন এই সুদ মাফ করা যাবে না, তারপরও ২৫২ কোটি টাকা সুদ মাফ করা হলো একজন ব্যক্তি ইন্ডাস্ট্রির লোনের। যেখানে গরিবের একটা লোন নেওয়ার পর সুদ মাফ করা হয় না।

তিনি আরও বলেন, এই যে জনতা ব্যাংক এটি নিয়ে আরও অনেক প্রশ্ন এসেছে। যেহেতু রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, আমরা জানতে চাই এগুলো কীভাবে হলো। এক বিলিয়ন ডলার পাচার এবং ২৫২ কোটি টাকা যে মাফ করা হলো এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর কাছে বিবৃতি দাবি করছি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে