শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া আমান কারাগারে

যাযাদি ডেস্ক
  ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপির নেতা আমানউলস্নাহ আমানের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। রোববার বেলা ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। এদিকে, দুর্নীতির মামলায় দন্ডিত ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউলস্নাহ দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য আদালত চত্বরে আসেন। পরে তিনি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এ আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১-এর বিচারক আবুল কাসেম বেলা সোয়া একটার দিকে তার জামিন আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে আমানউলস্নাহর আত্মসমর্পণকে ঘিরে সকাল থেকে বিএনপি নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হতে শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা ১১টায় পুলিশের পক্ষ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের আদালত প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে বিএনপির নেতাকর্মী তাতে কর্ণপাত করেননি। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে ধাওয়া, পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের আদালত চত্বর থেকে বের করে দেয়।

এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, বেলা ১১টার আগে আইনজীবীরা সাদা পোশাক পরে বহু বিএনপির নেতাকর্মী আদালত প্রাঙ্গণে জড়ো হন। তাদের আদালত থেকে বের হয়ে যেতে বললেও তারা তা করেননি। উল্টো তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়েন। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় আমানউলস্নাহকে ১৩ বছর ও সাবেরাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায়ে ৩ বছরের কারাদন্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের অনুলিপি বিচারিক আদালত গ্রহণের ১৫ দিনের মধ্যে আমানউলস্নাহ ও সাবেরাকে সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গত ৭ আগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

নির্দেশনা অনুসারে ৩ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন সাবেরা। ঢাকার বিশেষ জজ-১ আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ৪ সেপ্টেম্বর লিভ টু আপিল করে সাবেরা জামিন চান। গত মঙ্গলবার সাবেরার জামিন মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম।

সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আমান দম্পতির বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৬ মার্চ রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। একই বছরের ২১ জুন সংসদ ভবনে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের রায়ে আমানকে ১৩ বছরের (পৃথক ধারায় ১০ ও ৩ বছর) ও সাবেরাকে ৩ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এ রায়ের বিরুদ্ধে তারা হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০১০ সালে ১৬ আগস্ট হাইকোর্ট আপিল মঞ্জুর করে তাদের খালাস দেন।

এ রায়ের বিরুদ্ধে দুদক আপিল বিভাগে আবেদন করে। এর শুনানি শেষে ২০১৪ সালের ২৫ মে আপিল বিভাগ খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্ট আপিল পুনঃশুনানি করতে নির্দেশ দেন। পুনঃশুনানি শেষে আমান দম্পতির আপিল খারিজ করে বিচারিক আদালতের দেওয়া দন্ড বহাল রেখে গত ৩০ মে ওই রায় দেন হাইকোর্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে