রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

রূপপুরে পৌঁছেছে ইউরেনিয়ামের সপ্তম চালান

পাবনা প্রতিনিধি
  ১১ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

পাবনার ঈশ্বরদীর নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের 'ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের' সপ্তম চালান রূপপুরে পৌঁছেছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়ি বহর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি

নিশ্চিত করেছেন পাবনার ঈশ্বরদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিষ কুমার সান্যাল। তিনি জানান, ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়ি বহন ভোরে রাজধানী ঢাকা থেকে রওনা হয়ে বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়ে নাটোরের বনপাড়া ও পাবনার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া হয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।?

ইউরেনিয়াম আসাকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। ঢাকা থেকে প্রকল্প এলাকার রূপপুর পর্যন্ত মহাসড়কে যানবাহন চলাচল সীমিত রাখা হয়। তবে ইউরেনিয়ামের চালান রূপপুর প্রকল্প এলাকায় প্রবেশ করলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।'

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছায় রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎ প্রকল্পের জ্বালানির প্রথম চালান। পরের দিন ২৯ সেপ্টেম্বর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় জ্বালানি নেওয়া হয় প্রকল্প এলাকায়। ৫ অক্টোবর বিকেলে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভস্নাদিমির পুতিনের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। এর মাধ্যমে পারমাণবিক ক্লাবে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।

প্রথম চালানের এক সপ্তাহ পর গত ৬ অক্টোবর সকাল সোয়া দশটার দিকে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান, ১৩ অক্টোবর একই পথে ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান, ২০ অক্টোবর চতুর্থ, ২৭ অক্টোবর ৫ম চালান এবং ০৩ নভেম্বর ৬ষ্ঠ চালান রূপপুর প্রকল্পে পৌঁছায়।

উলেস্নখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বৃহৎ প্রকল্প। এই বিদু্যৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের ব্যয় ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণ সহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিদু্যৎ উৎপাদন শুরু করবে দেশের প্রথম পরমাণু বিদু্যৎ কেন্দ্রটি। আর ২০২৫ সালের মাঝামাঝি বিদু্যৎ কেন্দ্রটির দ্বিতীয় ইউনিট চালু হতে পারে। দুটি ইউনিট চালু হলে রূপপুর পারমাণবিক বিদু্যৎকেন্দ্র থেকে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদু্যৎ উৎপাদন হবে। প্রথম ইউনিটের ভৌত এবং অবকাঠামোগত কাজ শেষ হয়ে গেছে ৯০ শতাংশের বেশি। আর দ্বিতীয় ইউনিটের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে