বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) মাঠে গড়াচ্ছে আগামী ৩ ফেব্রম্নয়ারি থেকে। সবকিছু ঠিক থাকলে নিজেদের স্পোর্টস কমপেস্নক্সে নিজেদের ভেনু্যতে এবার হোম ম্যাচ খেলবে লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। আর সেটি সম্ভব হলে দেশের ফুটবলে রচিত হবে এক নতুন ইতিহাস। প্রিমিয়ার লিগে খেলা অন্য কোনো ক্লাবেরই নিজস্ব কোনো ভেনু্য নেই। আবাহনী-মোহামেডানের মতো দেশের ফুটবলের সব থেকে ঐতিহ্যবাহী ক্লাবগুলোও পিছিয়ে এদিক থেকে।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন থেকে মিলেছে অনুমোদন। গ্যালারি, ড্রেসিং রুম, প্রেসবক্স সবকিছু প্রস্তুত। দর্শকরা খুব কাছ থেকে ফুটবল উপভোগ করতে পারবে বসুন্ধরার মাঠে। ২৫ জানুয়ারি আবারও ভেনু্য পরিদর্শন করবে বাফুফের কমিটি। অপূর্ণতা বলতে ফ্লাড লাইট। যেটি এখনো স্থাপন করতে পারেনি বসুন্ধরা। তাই এই ভেনু্যতে দিনেই হবে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ। এখন থেকে বাংলাদেশের কোনো ক্লাব খেলবে সত্যিকারের হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ম্যাচ।
বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, 'বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ক্লাব তাদের নিজস্ব ভেনু্যতে খেলবে। দ্রম্নতগতিতে আমাদের কাজ এগিয়ে চলছে। আশা করছি, আগামী ২৫ তারিখের মধ্যে টুকটাক যেসব কাজ বাকি আছে, সেগুলো আমরা শেষ করে ফেলতে পারব।'
ঢাকায় ফুটবলের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ভেনু্য বলতে একমাত্র বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামই রয়েছে। যেখানে পূর্বে প্রিমিয়ার লিগের অধিকাংশ ম্যাচ আয়োজন করা হলেও সংস্কার কাজ চলাতে এ বছর সেটি সম্ভব হচ্ছে না। বঙ্গবন্ধুতে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক একসঙ্গে খেলা উপভোগ করতে পারে। তবে বসুন্ধরার এই মাঠে দর্শক ধারণক্ষমতা ১০ হাজার। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ঢোকার কিছু নিয়মনীতি থাকলেও, ম্যাচের দিন তা শিথিল করা হবে। শুধু তাই নয়, মাঠে দর্শক টানতে ফ্রি বাস সার্ভিস দেবে বেঙ্গল জায়ান্টরা। এ প্রসঙ্গে ইমরুল হাসান বলেন, 'আমাদের তিনটি প্রবেশ মুখ আছে। তিনটি প্রবেশ মুখে বাস রাখব। এই বাসে করে স্পোর্টস কমপেস্নক্সে দর্শকরা যেতে পারবে এবং খেলা শেষে ফিরতে পারবে। দর্শকদের জন্য এটা ফ্রি।'
এই মৌসুমটা ভালো যায়নি কিংসের। মৌসুম সূচক স্বাধীনতা কাপে ঢাকা আবাহনীর কাছে হেরে শিরোপা জেতা হয়নি। ফেডারেশন কাপে নাম প্রত্যাহার করে নেয় বসুন্ধরা। তাই লিগেই চোখ রাখছে ক্লাবটি। এবার লিগ শিরোপা জিতলে লিগের ট্রেবল শিরোপা উঠবে তাদের ঘরে। তাই ফুটবলারদের নিবিড় অনুশীলনের জন্য গাজীপুরের একটি রিসোর্ট ঠিক করেছে বসুন্ধরা। শুক্রবার থেকে সেখানে উঠেছেন ফুটবলাররা। এই রিসোর্টে আগে একবার জাতীয় ফুটবল দলের ক্যাম্পও হয়েছিল। কিংস সভাপতি জানান, 'রিসোর্টে দল পাঠানোর দুটি উদ্দেশ্য। লিগের আগে নিবিড় অনুশীলন ও আমাদের মাঠের পরিচর্যা। ওইখানে মাঠ, জিম, সুইমিং পুল সবই আছে। আশা করি সেখানে তাদের ভালো প্রস্তুতিই হবে।'
বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপেস্নক্স পেশাদার ফুটবলের ১২ বছরের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। ক্লাবগুলোর বাধ্যতামূলক একটি মাঠ থাকার শর্ত থাকলেও এতদিন কারও ছিল না। দেশের অন্য ক্লাবের পথ ধরে এগোলে আমাদের ফুটবলও হবে একদিন বিশ্বমানের। সে প্রত্যাশা করাই যায়।
Copyright JaiJaiDin ©2022
Design and developed by Orangebd