ইংল্যান্ডকে ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও একই ফরম্যাটে জয় দিয়ে শুরু হলো তাদের। সোমবার চট্টগ্রামে ব্যাটারদের সঙ্গে বোলাররা সমান ভূমিকা রেখেছেন। ডিএলএস মেথডে ২২ রানে জেতার পর সাকিব আল হাসান দলের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন।
আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ২০৭ রান করে। রনি তালুকদার করেন ৩৮ বলে ৬৭ রান। লিটনের ব্যাটে আসে ২৩ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস। পরে শামীম হোসেন ২০ বলে ৩০ ও সাকিব আল হাসান ১৩ বলে ২০ রানের ছোট ক্যামিও ইনিংস খেলেন।
প্রথম ২ ওভারে ৩২ রান তোলার পর হাসান মাহমুদের তোপে ধাক্কা খায় আয়ারল্যান্ড। তৃতীয় ওভারে এই পেসার উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন রস অ্যাডায়ারকে ফিরিয়ে। পরের ওভারে তাসকিন আহমেদ তিন উইকেট তুলে নেন। ৪ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৪ রান করার পর পরের দুই ওভারে ঝড় তোলেন ডিলানি ও টেক্টর। পঞ্চম ওভারে হাসানের বল থেকে ১৬ রান তুলে নেন তারা। ষষ্ঠ ও সপ্তম ওভারে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৫ ও ৭ রান আসে। শেষ ওভারে ৩২ রান দরকার ছিল আইরিশদের। প্রথম বলেই তাসকিন ফেরান টেক্টরকে (১৯)। মেহেদী হাসান মিরাজ দুর্দান্ত ক্যাচ নেন। বাকি পাঁচ বলে ৯ রান আসে। বাংলাদেশে জেতে ২২ রানে। তাসকিন ২ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। ৫ উইকেটে ৮১ রানে থামে আইরিশরা।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সাকিব বলেছেন, 'আমরা যেটা চাই, সেটাই হলো। এক বা দুজনের সবসয় অবদান রাখা কঠিন, এই ধরনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সই তো চাই। তারা (লিটন ও রনি) ওপেনিংয়ে নেমে গতি তুলেছিল এবং আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। নতুন যারা আসছে, তারা আতঙ্কিত নয়, তারা পারফর্ম করতে চায়।'
বোলারদের প্রশংসা করে অধিনায়ক বলেন, 'তাদের বল করার ধরন চমৎকার। আমাদের হাতে আরও কয়েকজন আছে, যারা আমাদের বর্তমান পারফরম্যান্সের কারণে সুযোগ পাচ্ছে না। দলের সবাই ক্রিকেট উপভোগ করছে।'