আজকের যায়যায়দিন

ডান হাতের আঙুলের ইনজুরির কারণে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে গেছেন বাঁহাতি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আর এই কারণে ঘরের মাঠে একমাত্র টেস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অনিশ্চিত সাকিব। ফলে ক্রিকেটাঙ্গনে এখন 'হট টপিক' আসন্ন টেস্টে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বের গুরুদায়িত্ব কে সামলাবেন? ক্রিকেটপাড়ায় এ নিয়ে নানান গুঞ্জন থাকলেও এগিয়ে থাকছেন টাইগারদের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ও টেস্টের সহ-অধিনায়ক লিটন কুমার দাসই। যদিও প্রথমে মিরপুরের আনাচে-কানাচে গুঞ্জন ছিল, নেতৃত্বভার নিতে আগ্রহী নন এই ডানহাতি ওপেনার। এমনকি অধিনায়ক হওয়ার দৌড়ে লিটনের পরেই আছেন নাজমুল হাসান শান্ত ও মেহেদী হাসান মিরাজ। সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে লিটনের ভাষ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সিদ্ধান্তেই খুশি থাকবেন তিনি। তবে এবারই প্রথম নয়, গত ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে তামিমের পরিবর্তে টাইগারদের দলপতি হিসেবে বেশ ভালোই করেছিলেন স্টাইলিশ এই ব্যাটসম্যান। আর ওই সিরিজে লিটনের নেতৃত্বে ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল লাল-সবুজ শিবির। এবার নেতৃত্বের মুকুট পেলে লাল বলের ক্রিকেটে কতটা দক্ষতার পরিচয় দেন, সেটাই এখন দেখার বিষয়। লিটনের মন্তব্য, না এমন কিছু না। বোর্ড এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি কিছু। আপনারা দুই দিন পরই সবকিছু জানতে পারবেন। তারা আমাকে যোগ্য মনে করলে, সেটা তারাই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে টাইগারদের অধিনায়ক কে হবেন, তা নিয়ে গণমাধ্যমে এত বাড়তি আলোচনার কোনো কারণ খুঁজে পান না এই ডানহাতি ওপেনার। তার দাবি, নেতৃত্বে কে আসবে, না আসবে এই সিদ্ধান্ত তার (লিটন) হাতে নেই। আর লিটনের ভাষ্যমতে, প্রথমত এই জিনিসটা নিয়ে এত নিউজ (সংবাদ) কেন হচ্ছে; এটাই বুঝতে পারছি না। এটা তো সম্পূর্ণ বিসিবির সিদ্ধান্ত, আমি জানি না। এটাতে আমার কোনো হাত নেই, আমার কিছু বলারও নেই এখানে। যদি অধিনায়কত্ব করি, অবশ্যই এক্সাইটমেন্ট তো থাকবেই, প্রথমবারের মতো টেস্ট অধিনায়ক হব, এটা তো অনেক বড় অর্জন। এদিকে আফগান সিরিজকে সামনে রেখে আগামী ২৯ মে থেকে মিরপুরে ক্যাম্প করবে বাংলাদেশ দল। যদিও এরই মধ্যে নিজ নিজ উদ্যোগে অনুশীলন করছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অন্যদিকে গুঞ্জন উঠেছিল, বুধবার টেস্ট দলে কারা থাকছেন সেটা জানানোর একটা সম্ভাবনা আছে। তবে এখনই তা হচ্ছে, আরেকটু সময় নিতে চাচ্ছেন নির্বাচকরা। আগামী ১০ জুন ঢাকায় পা রাখবে রশিদ-নবিরা। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সিরিজের একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী ১৪ থেকে ১৮ জুন। এরপর আগামী ৫, ৮ ও ১১ জুলাই দুই দলের মধ্যকার তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে, চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। এরপর ১৪ ও ১৬ জুলাই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা টি২০ সিরিজে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে।