বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে প্রথম রাউন্ডের ম্যাচের তৃতীয় দিন দক্ষিণাঞ্চল অলআউট হয়েছে ২৮২ রানে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে স্বস্তিতে নেই পূর্বাঞ্চলও। দিনের খেলা শেষ হওয়ার আগে স্রেফ ১ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা। ম্যাচের শেষ দিন ১২১ রানে এগিয়ে থেকে খেলতে নামবে ইরফান শুক্কুরের নেতৃত্বাধীন দল।
জুটি ভেঙে শুরুটা করলেন নাসুম আহমেদ। রিভার্স সুইংয়ের প্রদর্শনী মেলে ধরে দক্ষিণাঞ্চলের মেরুদন্ড ভাঙলেন রেজাউর রহমান রাজা। পরে আবার লেজ মুড়িয়ে দিলেন নাসুম। পূর্বাঞ্চল পেল বড় লিড আর বাঁহাতি স্পিনার ভাসলেন দারুণ অর্জনের আনন্দে।
প্রথম ইনিংসে পূর্বাঞ্চলকে লিড এনে দেওয়া বোলিংয়ে ৭৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন নাসুম। ত্রিশ ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এটি তার দশম ৫ উইকেট। জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে ৩৩ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার। অবিচ্ছিন্ন ৭০ রানের জুটি নিয়ে বৃহস্পতিবার খেলা শুরু করেন দক্ষিণাঞ্চলের দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন ও ফজলে মাহমুদ। দিনের শুরুতে মিঠুনকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন নাসুম। ১ রানের জন্য পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি মিঠুন। এরপর পুরনো বলে রিভার্স সুইংয়ের পসরা সাজান রাজা। ৬ রানের মধ্যে তিনি ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠান মার্শাল আইয়ুব, আফিফ হোসেন ও শেখ মেহেদি হাসানকে। গুড লেংথে পিচ করে গতির সঙ্গে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারিতে তিনি বোল্ড করেন মার্শাল ও আফিফকে। পরে হালকা লাফিয়ে ওঠা বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন মেহেদি।
দ্রম্নত ৪ উইকেট হারানোর পর মইন খানকে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ফজলে মাহমুদ। সপ্তম উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। ৪৭ রান করা মইনকে এলবিডবিস্নউ করে এই জুটিও ভাঙেন নাসুম। শেষ ৩ উইকেট নিতে একদমই সময় নেননি ২৯ বছর বয়সি স্পিনার। পূর্বাঞ্চলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮১ রানের ইনিংস খেলেন ফজলে মাহমুদ।
১২০ রানের লিড পেয়ে দ্বিতীয়বার ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শেষটা ভালো হয়নি দক্ষিণাঞ্চলের। প্রথম ওভারেই ফেরেন সৈকত আলি। পারভেজ হোসেন ইমনকে বোল্ড করে পরের ওভারে নাইটওয়াচম্যান নাসুমকে বিদায় করেন অফ স্পিনার মেহেদি। আউট হওয়া তিন ব্যাটসম্যানের কেউই রানের খাতা খুলতে পারেননি।
এদিকে বৃষ্টির কবলে পড়েছে মধ্যাঞ্চল-উত্তরাঞ্চলের ম্যাচ। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠে বৃষ্টির কারণে সারা দিনে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। মধ্যাঞ্চল আগে ব্যাট করে নাঈম ইসলামের সেঞ্চুরির সৌজন্যে করে ২৮১ রান। জবাবে তাওহিদ হৃদয়ের অপরাজিত শতকে উত্তরাঞ্চলের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ২৩৬ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পূর্বাঞ্চল ১ম ইনিংস: ৪০২
দক্ষিণাঞ্চল ১ম ইনিংস: (আগের দিন ১৩২/২) ৯৭.২ ওভারে ২৮২ (মাহমুদ ৮১, মিঠুন ৪৯, মার্শাল ১২, আফিফ ৪, মেহেদি ০, মইন ৪৭, কামরুল ৬*, তানভির ১৫, আল আমিন ০; তানজিম ০/৩৩, নাঈম ২/৫৯, রাজা ৩/৯০, নাসুম ৫/৭৫, সৈকত ০/১৬)।
পূর্বাঞ্চল ২য় ইনিংস: ৫ ওভারে ১/৩ (সৈকত ০, পারভেজ ০, অমিত ১*, নাসুম ০, ইয়াসির ০*; আল আমিন ১/০, মেহেদি ২/০, তানভির ০/১)।